ঢাকা গত ৯ জুলাই (বুধবার) রাত ১২টার পর ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় টঙ্গীতে কলেজছাত্র মাহফুজ হত্যা মামলায় র্যাব চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. রাফসান জানি রাহাত (২৮), মো. রাশেদুল ইসলাম (২০), মো. কাওছার আহম্মেদ পলাশ (২৩) ও রাকিব ইসলাম (২৬)। তাদের টঙ্গীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১ এর সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর মুহাম্মদ আহনাফ রাসিফ বিন হালিম এ তথ্য জানান। তিনি জানান,আব্দুল্লাহপুর বাস স্ট্যান্ড এ গত বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হাতেম আলী কলেজের ছাত্র মো. মাহফুজুর রহমান নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তার পায়ে রক্তাক্ত জখম হয় এবং তিনি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর কিছু সময় পর তার নিথর মরদেহ আব্দুল্লাহপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বিআরটির একটি নির্মাণাধীন স্থানে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মামলা হলে র্যাবের ছায়া তদন্ত শুরু হয়। তদন্তের এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর এন্ড্রয়েড ফোনটি হত্যাকাণ্ডের প্রায় ২ ঘণ্টা পর শনাক্ত করা যায়।
বর্ণিত ঘটনার সূত্র ধরে র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল মোবাইলের গ্রাহককে দ্রুত সময়ে শনাক্ত করে নজরবন্দীতে আনে। মোবাইলের গ্রাহককে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ভুক্তভোগীর ফোনটি টঙ্গীর মাজার বস্তির এক চোরাই মোবাইল ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে ৩৫০০ টাকা মূল্যে ক্রয় করেছেন তিনি। অতঃপর মোবাইলের গ্রাহককে বিভিন্ন সন্দেহভাজন চোরাই মোবাইল চক্রের ছবি দেখালে তিনি মোবাইল বিক্রেতা রাকিবকে শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে র্যাব তাকে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে গ্রেফতার করে। র্যাব জানায়, মোবাইল বিক্রেতা রাকিব সাএবক মাদক কারবারি। তিনি বর্তমানে ছিনতাইকারীদের ব্যবহার করে কম মূল্যে মোবাইল সংগ্রহ করেন এবং লাভজনক মূল্যে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করেন। একই সঙ্গে ছিনতাইকারীরা তার নিকট থেকে সুইচ গিয়ার এবং অন্যান্য ধারালো সরঞ্জাম সংগ্রহ করেন। চোরাই মোবাইল বিক্রেতা রাকিবের কাছে ১টি ছিনতাই চক্র সর্বমোট ৩টি মোবাইল সেট বিক্রয় করেন। অভিযানে প্রথমে কাওছার আহম্মেদ পলাশকে গ্রেফতার করা হয়। পলাশের তথ্য অনুযায়ী ছুরি ব্যবহারকারী ছিনতাইকারী রাশেদকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছাত্র মাহফুজকে গুরুতর জখমের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেন এবং তাদের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ছিনতাইকারীর সন্ধান দেন। একই সঙ্গে ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চালক রাহাতের সন্ধান দেন। চালক রাহাতকেও একইদিনে গ্রেফতার করা হয়। এর মাধ্যমেই ১টি ছিনতাই চক্র সম্পূর্ণ গ্রেফতার হলো।