সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৩:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কোচ না বদলালে জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না লেভানদোভস্কি! এপ্রিলে নির্বাচন মাথায় রেখে সময়মতো রোডম্যাপ দেবে ইসি: আসিফ মাহমুদ কক্সবাজার সৈকতে নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার আব্দুল হামিদ প্রসঙ্গে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চলনবিলের তাড়াশে কৃষকের সোনালী ফসল পানির নিচে তাড়াশে ঝড়ে গাছের ডাল পরে স্কুল শিক্ষক নিহত উল্লাপাড়ায় অসুস্থ জুবায়েরের পাশে মাওলানা রাফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ১৫ সাভার থেকে গর্ভবতী নারীকে অপহরণের অভিযোগ, নেপথ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী আসলাম ৬৫ ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত টোলের ১ লাখ ৩৫  হাজার টাকা ফেরত নিয়ে দিলো সেনাবাহিনী 

পাচার অর্থ ফেরাতে চার-পাঁচ বছর লাগবে : গভর্নর

অনলাইন ডেস্ক: / ১৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫, ৬:৪৮ অপরাহ্ন
-ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে চার থেকে পাঁচ বছর লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, পাচারকৃত টাকার পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। এর ভিত্তিতে আমরা আন্দাজ করছি ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। যারা টাকা পাচার করেছে তাদের সম্পদ জব্দ করা হচ্ছে, যাতে এসব সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে আবার নতুন করে পাচার না করে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে আমাদের প্রধান কাজ হলো সর্বোচ্চ পরিমাণ সম্পদ জব্দ করা। যারা পাচার করেছে তাদের জেলে পোরা কঠিন কাজ, এমন কোথাও হয়নি। আমাদের লক্ষ্য হলো, ব্যাংক থেকে টাকা চলে গেলে সেই টাকা উদ্ধার করা। এখানে বিভিন্ন আইনের জটিলতা আছে। আমি যদি ক্রিমিনাল আইনে মামলা করি, তাহলে সিভিল মামলা করতে পারব না। এখন ভাবতে হবে আমি কোন মামলা করব।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, এক্ষেত্রে বিদেশের আইনে কোনো ব্যত্যয় তারা মানবে না। আমরা কীভাবে মামলা করছি, যদি বিদেশে প্রশ্ন তোলে তাহলে আমাদের সব আটকে যাবে। কাজেই আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এভিডেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, এই টাকা উদ্ধার করার কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নয়। কিন্তু আমরা কাজটি নিয়েছি, যাতে গতিশীল থাকে। অন্য কোনো দপ্তর এটা করলে গতিশীল হতো না। তারপরও কোর্টে কেস ফাইল আমরা করব না, কেস ফাইল করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), কেস ফাইল করবে সিআইডি। তারা এভিডেন্স সংগ্রহ করছে, আমরাও যতদূর সম্ভব করছি। আমাদের অনেক এভিডেন্স সংগ্রহ করা হয়নি, ১১টি তদন্ত টিম কাজ করছি। কিন্তু যারা যুক্ত আছে, যারা একাজ করছে, এখনো তারা পুরোপুরি নিবেদিত হয়ে শুরু করতে পারেনি। একসঙ্গে দুই অফিসের কাজ করতে হয়।

তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো একীভূত করা হবে। তবে সংখ্যাগুলো এখনই বলা যাচ্ছে না। প্রথমে অল্পসংখ্যক ব্যাংক একীভূত করা হবে। তারপর আরও কিছু ব্যাংক। নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে আগে সরকারিকরণ করা হবে। ব্যাংক অধিগ্রহণ করলে কোনো আমানতকারীর চিন্তা থাকবে না, সরকারই আমানতকারীর সব দায় নেবে। আমানতকারী যে ব্যাংকে আছে, সেখানেই থাকুন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকারি করলে সরকারকে অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হবে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। তারপর দেশি হোক বিদেশি হোক বিনিয়োগকারীকে আহ্বান করা হবে। সে ক্ষেত্রেও সময়সাপেক্ষ। পাচার হওয়া টাকা উদ্ধার প্রক্রিয়া বাংলাদেশের কাছে একেবারে নতুন। বিএফআইইউ বলুন, দুদক বা সিআইডি বলুন, কোনো সংস্থাই এ ধরনের কাজের জন্য প্রস্তুত ছিল না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir