সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চাঁদাবাজদের হুমকিতে ভয় নয়, সরাসরি জানান পুলিশকে: এডিসি জাকারিয়া মোহাম্মদপুরে সাড়াশি অভিযানে গ্রেফতার ৩৫ বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান লায়ন বাশার গ্রেফতার পল্লবীতে চাঁদার দাবিতে হামলা ও গুলি: র‌্যাবের অভিযানে আরও ৫ আসামি গ্রেফতার প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক সারা দেশে মব সৃষ্টির প্রতিবাদে নওগাঁ ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল নওগাঁয় জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষক নাগরিক সংলাপ  খানসামায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন তিন ঘন্টা পর ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক বাড্ডায় চাঞ্চল্যকর আনোয়ার হত্যা: গ্রেপ্তার নূরার রিমান্ডে দেওয়া তথ্যে মিলল বিদেশি পিস্তল

নাটোরে অতিরিক্ত খাজনার টাকা ফেরত পেলো ৫ শতাধিক পশু ক্রেতা; প্রশংসায় ভাসছে সেনাবাহিনী  

নাসিম নাটোর প্রতিনিধি : / ২৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ১ জুন, ২০২৫, ৮:০০ অপরাহ্ন

নাটোরের বড়াইগ্রামের জোনাইল পশু হাটে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় নাটোর সেনাবাহিনীর একটি টিম। এতে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেলে তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত খাজনা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে  ইজারাদাররা মাইকিং করে পশু ক্রেতাদের মাঝে আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
শনিবার(৩১ মে) বিকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল পশু হাটে এই ঘটনা ঘটে। ৫ শতাধিক পশু ক্রেতা টাকা ফেরত পেয়ে উপস্থিত সকল ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর এমন ভূমিকার প্রশংসা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার উপজেলার জোনাইলে পশুর বড় হাট বসে। হাটের জন্য নির্ধারিত দিন হিসেবে শনিবার দুপুর থেকে হাট জমতে শুরু করে। হাটে প্রতি ছাগলের খাজনা বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা আদায় করে। অথচ এই খাজনা সরকারী তালিকা অনুযায়ী নেওয়ার কথা ছিলো ক্রেতার কাছ থেকে ছাগলের মূল্য অনুসারে ১১০ থেকে ২২০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ২২-৫৫ টাকা।
অপরদিকে ইজারাদাররা গরুর খাজনা বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে ৮০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা আদায় করে। যা সরকারী তালিকা অনুযায়ী নেওয়ার কথা ক্রেতার কাছ থেকে গরুর মূল্য অনুসারে ৩৩০-৬০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৬০-১২০ টাকা।
গরু বিক্রি করতে আসা আদগ্রামের আদম আলী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান,  ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এমন গরু এবং যে গরু ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে তাদের উভয়ের খাজনা একই পরিমাণ। অর্থাৎ ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে ইজারাদাররা মোট ১০০০ টাকা আদায় করছে। একই ভাবে ৪০ হাজার টাকার ছাগল ও ১০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রিতেও একই পরিমাণ খাজনা নিচ্ছে। যা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।
কোরবানীর জন্য ছাগল কিনতে আসা কলেজ শিক্ষক ওসমান গণি জানান, পশু হাটে খাজনা আদায়ের চার্ট খুঁজলাম। কিন্তু কোথাও পেলাম না। ইজারাদারদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, আমরা বেশি নিচ্ছি না। তাই চার্টেরও প্রয়োজন নাই। এদিকে খাজনার রশিদে পশুর দাম লিখে দিচ্ছে কিন্তু খাজনা কত নিলো তা লিখছে না।
জোনাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান,  যারা ইজারা পেয়েছে তারাই খাজনা আদায় করছে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাজনার বিষয়ে প্রশাসন খেয়াল রাখছে। আজ অতিরিক্ত আদায় করলে সেনাবাহিনী এসে সেই টাকা ফেরত দিয়ে দিতে বলেন। অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার সময় ইজারাদাররা ভবিষ্যতে সরকার নির্ধারিত খাজনার বাইরে অতিরিক্ত খাজনা নিবে না বলে সেনাবাহিনীর কাছে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।#


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir