রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শীলমাড়িয়া ইউনিয়নের পচামাড়িয়া এলাকার এক ব্যক্তির দোকান ঘর ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে, পুঠিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মৌসুমী রহমান ও তার তার স্বামী ওয়াহিদুল ইসলামের নামে। তাদের সঙ্গে নাম ওঠে কুজরত আলী অপরজন হলেন সাইদুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে জমি নিয়ে সাবেক পুঠিয়া উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী রহমান ও মোঃ রফিকুল ইসলাম এর পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত ২৮/৬/ ২০২৫ ইং তারিখে আবারও ওই জমি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর আগে ওই জমি নিয়ে বেশ কয়েকবার মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিষয় নিয়ে ও বিবাদমান জমির দলিল বাতিল চেয়ে রহিদুল পক্ষে কোর্টে একটি মামলাও দায়ের করেন।
থানার জিডি সুত্রে জানা গেছে, ভাইস চেয়ারম্যানসহ রহিদুল, কুজরত আলী, ও মোঃ সাইদুর ওই জমিতে থাকা ভাড়াটিয়া দোকানিদের দোকান খালি করতে বলে কয়েক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আসেন। এছাড়াও রফিকুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি, ও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয় বলে জিডি সুত্রে জানা যায়। ওই দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এবিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে প্রায় ২৩ বছর আগে আমরা সবাই মিলে বসে পারিবারিকভাবে জমি বাটোয়ারা দলিল করে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। সবাইকে সবার ভাগ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ চেয়ারম্যানের ক্ষমতার বলে আমাদেরকে কোণ ঠাসা করে রাখা হয়েছিল। প্রতিনিয়ত ওরা আমাদেরকে দোকানপাট দখলের হুমকি সহ নানানভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে যায়। এছাড়াও অতীতে আমাদেরকে বেশ কয়েকবার মারধর করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী রহমানের স্বামী রহিদুল ইসলাম সবকিছু অস্বীকার করে বলেন, আমরা কখনো কোনদিন তাদেরকে মারধর করিনি। তাছাড়া ওই দোকানপাট জমিজমা সবকিছু আমাদের। এ বিষয়ে কোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে। পরে তিনি আরো বলেন, আমার এখন সময় খারাপ যাচ্ছে , এখন আমি কাউকে কিছু বলতে পারি বলে মনে হয়। তবে আমার আরো দুজন ভাগি আছে তারা জমি জন্য হয়তো আসলে আসতে পারে।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার (ওসি) কবির হোসেন বলেন, আমরা থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।