পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে সোহাগ হত্যায় সাতজন গ্রেফতার হলেন। আটক নতুন দুইজনের মধ্যে এজাহারনামীয় সাত নম্বর আসামি সজীব ব্যাপারী অপরজন ১০ নম্বর আসামি রাজিব ব্যাপারী রয়েছে। রবিবার সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে নেত্রকোণার দুর্গাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার (১২ জুলাই) ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুর্গাপুর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। সজিব ও রাজিব আপন দুই ভাই। তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
এর আগে সোহাগ হত্যার ঘটনার পরপরই থানা পুলিশ তিনজন এবং র্যাব দুইজনকে গ্রেফতার করে।
শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ভাঙারি ব্যবসা ও দোকানে কারা ব্যবসা করবে, তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। নিহত সোহাগ ও অভিযুক্তরা আগে একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। লেনদেন ও অংশীদারত্ব নিয়ে মতবিরোধ থেকেই এই সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে।’
বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামের ওই ব্যবসায়ীকে একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করে। পরদিন নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন, টিটন গাজী গ্রেফতার করে পুলিশ। তাছাড়া র্যাবের পৃথক অভিযানে আলমগীর ও মনির ওরফে ছোট মনির—কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়।