সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় শ্রী শ্রী জগদিশ্বরী মাতা মন্দিরের পুকুর পারে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১ শত বছর ধরে প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রী শ্রী জগদিশ্বরী মাতা মন্দিরের পুকুর পারে এই ঐতিহ্যবাহী স্নান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। হিন্দু ধর্ম মতে এটি একটি পুণ্য কর্ম এবং স্নানের স্থানটি তীর্থ স্থান। এবারে পঞ্জিকা হিসাব অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে শুরু হয়ে বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত ছিল স্নানের সময়। বুধা (বুধবার) অষ্টমী হওয়ায় স্নানের কোন নির্দিষ্ট লগ্ন ছিল না। পুরো ২৪ ঘণ্টাই ছিল স্নানের সময়। তাই দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা সারাদিনব্যাপী নিজেদের সুবিধামত সময়ে স্নানকার্য সম্পন্ন করেন। স্নান কার্য স্থলে মেলায় নাগর দোলা থেকে শুরু করে সব ভিন্ন প্রসাধনীর মেলা বসে।
হে মহা ভগবান, হে লৌহিত্য, তুমি আমার পাপ হরণ করো। মন্ত্র উচ্চারণ করে ব্রহ্মার নিকট কৃপা চেয়ে স্নান উৎসবে মেতে উঠেন পুণ্যার্থীরা। প্রায় ২ হাজার পুণ্যার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল শ্রী শ্রী জগদিশ্বরী মাতা মন্দির এলাকা।
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর চত্রহাটি এলাকায়শ্রী শ্রী জগদিশ্বরী মাতা মন্দির অবস্থিত এখানে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ছিল স্নানের স্থানের ব্যাপ্তী। স্নান উৎসবকে ঘিরে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত হতে পুণ্যার্থীর ভিড় জমে এ মন্দির পাঙ্গনে।
সলঙ্গা থেকে স্নান উৎসবে আসা পুণ্যার্থী শ্যমালী রানী জানান, অষ্টমী স্নানের আনন্দটা একটু বেশী। তাই অনেক কষ্ট করে স্নান করতে এসেছি, পরিবেশ ভাল থাকায় স্নান করে তৃপ্তিও পেয়েছি।
স্নান উৎসব কমিটির অজিত কুমার বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে স্নান সম্পন্ন হয়েছে, এবারে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার প্রায় ২ হাজার পুণ্যার্থী স্নান উৎসবে যোগ দিয়েছিল। তিনি আরো জানান, পরিবেশ অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বারের তুলনায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা অনেক বেশী হয়েছিল।
মন্দিরের ঠাকুর সুবল কুমার জানান, এখানে অনেকে মানুষা করে থাকে তারা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে ভোগ দেয়, পূজা অর্চনা করে। এবছর পরিবেশ ভাল থাকায় অন্যান্য বারের তুলনায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা অনেক বেশী হয়েছিল।