আসন্ন ঈদুল আজহায় কুরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণের জন্য ব্যবসায়ী, সমিতি ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে আজ রবিবার বৈঠক করবে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে কুরবানির পশুর চামড়া ও চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হবে।
গত বছর সারাদেশে প্রতি বর্গফুট (লবণ দেয়া) কুরবানির গরুর কাঁচা চামড়ার দাম আগের বছরের চেয়ে ৭ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত বছর ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
দেশে প্রতি বছর যে পরিমাণ চামড়া সংগ্রহ করা হয় তার প্রায় ৫০ শতাংশ কাঁচা চামড়া ঈদুল আজহাতেই সংরক্ষণ করেন ট্যানারি মালিকরা। গত বছর ঈদের প্রথম দুই দিনেই প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিল। আর সারা বছর প্রায় এক কোটি পিস কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয়।
বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের মতে, এ বছর এক কোটি ১০ লাখ পিস কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করতে ন্যায্যমূল্যে লবণ, কেমিক্যাল পেলে এ বছর রপ্তানি আরো বাড়বে বলে আশা ট্যানারি মালিকদের।
এদিকে দেশে ৬১ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হলেও বাজারে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় ৩শ টাকা। আর কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকা। কুরবানির আগে হঠাৎ করে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। এভাবে লবণের দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়বে কাঁচা চামড়ার ওপর।
তাদের মতে, কুরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লবণের বাড়তি দাম। তারা বলেন, লবণের দাম বাড়তে থাকলে চামড়ার দাম কমবে এটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, মৌসুম শুরুর আগেই লবণের দাম বেড়ে যাওয়া চামড়া ব্যবসায়ীদের চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। রীতিমতো ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। হঠাৎ করে বস্তাপ্রতি ৩শ টাকা বেড়ে যাওয়া ভালো লক্ষণ নয়।
তিনি আরো বলেন, এভাবে দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়বে কাঁচা চামড়ার ওপর। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়ত পর্যন্ত পৌঁছার আগে লবণের দাম পড়ত কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ১৬ টাকা। সেই লবণ এখন ১৯-২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। লবণ সিন্ডিকেটে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।