শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রোপা আমনের পাতায় উঁকি দিচ্ছে স্বপ্ন; খানসামায় পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণী সারিয়াকান্দিতে পূজা মন্ডপে শাহাজাদী আলম লিপির আর্থিক সহায়তা প্রদান সারিয়াকান্দিতে বিএনপি নেতা জাকিরের নেতৃত্বে পূজামন্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধপ্রাপ্তি কমাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা আপনারা সবাই বাংলাদেশের মালিক- ড. আশিফ নজরুল পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশ  হালতি বিলে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু,আহত ২ সারিয়াকান্দিতে বিস্ফোরক মামলায় ছাত্রলীগের নেতা গ্রেফতার জয়পুরহাটে ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু তনির বুড়া স্বামী মারা গেছে, এসব মনগড়া খবর ছড়াবেন না

২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষিজমির উন্নয়ন কর মওকুফ

রিপোর্টারের নাম / ১১১ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০২৩, ৪:৪০ অপরাহ্ন

ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায়ে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’ বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষিভূমি উন্নয়ন কর মওকুফের বিধান রাখা হয়েছে। তবে ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। বাংলার পরিবর্তে ইংরেজি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ওই কর আদায় করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এর আগে বিলের ওপর আপত্তি জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। সেই আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিলটি উত্থাপনকালে ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সর্বসাধারণ উপকৃত হবে এবং স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায়ের লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩’ শীর্ষক আইনে জনস্বার্থে ২৩টি ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, উত্তরাধিকারী, কালেক্টর ইত্যাদি সংজ্ঞাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে কৃষিভূমির উন্নয়ন করের হার ২৫ বিঘা পর্যন্ত মওকুফ রাখার বিধান রয়েছে এবং অকৃষিভূমির উন্নয়ন করের হার সরকার সময়ে সময়ে গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে মর্মে বিধান রাখা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য জুলাই-জুন অর্থাৎ অর্থবছরকে কর বছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগে ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হতো। এখন সেটা হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।

সংসদে উত্থাপিত বিলে কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, তা আগেই জমির মালিককে জানিয়ে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবহারভিত্তিক হবে। প্রতিবছর কার কত ভূমি উন্নয়ন কর, সেটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তালিকা তৈরি করে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবেন। এ বিষয়ে যদি কারো আপত্তি থাকে, সেটা তিনি দায়ের করতে পারেন। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা কালেক্টরের (ডিসি) কাছে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করতে পারেন। ডিসি তা ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।

প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে (মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি) ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। এ ছাড়া বিলের বিধান অনুযায়ী, কোনো ভূমির মালিক টানা তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিলে তাঁকে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর পরিশোধ করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir