রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনের অংশটি যেন একটা ডাস্টবিন, ময়লার ভাগাড় এবং এডিস মশা জন্মের পুণ্যস্থান। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ,পচা আবর্জনা ময়লার দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ উপজেলায় আগত বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং সেবা প্রতাশিরা। অন্যদিকে এইসব ময়লা আবর্জনা এবং স্যাতস্যাতে পরিবেশে বাড়ছে মশার প্রজনন ক্ষমতা এবং এডিস মশার লার্ভা থেকে বংশ বৃদ্ধির সম্ভবনা।
মিঠাপুকুর উপজেলা চত্বরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে নোংরা পরিবেশ নিয়ে কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উপজেলায় আগত কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়গুলোর সভাপতি এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। তাদের দাবি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কিংবা কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে অফিসে প্রয়োজনীয় কাজে দেখা করতে আসলে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনের ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে তারা অতিষ্ঠ হয়ে যান। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনগুলোতে ঘৃণার সৃষ্টি হয় এবং বমি বের হয়ে আসে।
দেশব্যাপী যখন ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে এবং এডিস মশাসহ মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংসের কাজ চলছে ঠিক তখনো নিরব সংশ্লিষ্ঠরা। অথচ উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সবশেষ মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এই যখন মিঠাপুকুরের অবস্থা তখন ডেঙ্গু মোকাবেলায় নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে।
মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেবুল হোসেন জানিয়েছেন, মিঠাপুকুরে পরীক্ষা করে এ পর্যন্ত ৭ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। উপজেলায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় তিনি মশার হটস্পট এড়িয়ে চলার আহবান জানান ।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকতারুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তার কার্যালয়ে গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান জানান, কিছুদিন আগে তিনি যোগদান করেছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা চত্বরে বেশ কিছু স্হাপনা এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষা অফিসের সামনের ময়লা আবর্জনার বিষয়টি তিনি সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।