আব্দুস সামাদ সায়েম :
বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর জন্য প্রাণ বিসর্জনকারী ক্যাপ্টেন এম.মনসুর আলীর বড় নাতি এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত এমপি ড. মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে শেহেরিন সেলিম রিপন আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে সিরাজগঞ্জ-২ আসনে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। সরকারের উন্নয়ন প্রচারনার বার্তা নিয়ে তিনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নিরহংকার, সততা, দক্ষতা, মিষ্টভাষি, লাবন্যময় চেহারার অধিকারী ও মিশুক শ্রেনীর মানুষ হওয়ায় এমপি প্রার্থী হিসেবে তার ধারে কাছে নেই অন্য কোন প্রার্থী। সিরাজগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অনুযোগ-অভিযোগ ওঠেছে। কারো বিরুদ্ধে সরকারী দলের ক্ষমতা অপব্যবহার করে সামান্য স্কুল শিক্ষিকা থেকে কোটিপতি, কারো বিরুদ্ধে নিজ দলের কর্মীকে হত্যায় ষড়যন্ত্র, নানাবিধ অনিয়ম-অভিযোগের কারনে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি এবং কারো বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য ও কমিটি বাণিজ্যের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তারুণ্য ব্যক্তিত্ব সফল ব্যবসায়ী শেহেরিন সেলিম রিপনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তো দুরের কথা এসবের ধরা-ছোয়ার বাইরে তিনি। তিনি একজন ক্লিন ইমেজধারী ও রজানীতিতে সততার প্রতীক হিসেবে রাজনীতির মাঠে নেমেছেন। জনগনের মাঝে যাচ্ছেন। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছেন।
তথ্যমতে, ১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহন করেন শেহেরিন সেলিম রিপন। তার বাবা ড. মোহাম্মদ সেলিম সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। চাচা মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ কয়েকটি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন। দাদা ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ১৯৭১ সালে মুজিবনগরে গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় যোগাযোগ মন্ত্রী এবং পরবর্তী সময়ে স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি দলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে দেশে এক দলীয় রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি চালু হলে তিনি বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। শেহেরিন সেলিম রিপন এমন পরিবারের একজন সন্তান। আর এমন পরিবারের একজন সন্তান হিসেবে শেহেরিন সেলিম রিপনকে দলের হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বলার কোন অবকাশ রাখে না। লন্ডনে লেখাপড়া ও ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি। কিন্তু যার শরীরে বহমান রয়েছেন ক্যাপ্টেন এম.মনসুর আলী ও ড. মোহাম্মদ সেলিমের মতো একজন দেশপ্রেমিকের রক্ত সে কখনো দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে না করে থাকতে পারেন না। তাই বাবা মারা যাবার পর গর্ভধারিনী মায়ের নির্দেশ এবং তার আর্শীবাদ বাদ নিয়ে গত তিন বছর যাবত তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি দাদা ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং বাবা ড. মোহাম্মদ সেলিমের মতো একজন আদর্শবান মানুষ হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে সিরাজগঞ্জে কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি দাদার স্মরনে ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন। ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভিন্নভাবে অসহায় মানুষকে সহায়তার মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। ফাউন্ডেশনের ব্যানারে সরকারের উন্নয়ন প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাট-বাজারসহ মানুষের দ্বারে দ্বারে পায়ে হেটে গিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। উন্নয়নশীল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই বলে মানুষের মধ্যে তুলে ধরছেন। তার সাবলীল বাচনভঙ্গি ও মিষ্টভাষি কথায় সরকারের উন্নয়ন প্রচারনা মানুষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার মধ্যে সিরাজগঞ্জের মানুষ শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি সিরাজগঞ্জের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
দলের দু:সময়ের ত্যাগী নেতারা বলেন, সিরাজগঞ্জ-২ আসনটি সিরাজগঞ্জ জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। আসনটি বিএনপি অধ্যূষিত এলাকা। যদিও ৯৬ সালে হেভিওয়েট প্রার্থী মোহাম্মদ নাসিম বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে। ২০১৪ বিনা প্রতিদন্ধিতায় ও ২০১৮ নির্বাচনে আওয়ালীগ জয় পেয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করে তবে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট নেতা প্রয়োজন। যার মধ্যে রাজনীতির শক্ত ভিত থাকতে হবে। অতীতের কোন অভিযোগ বা দুর্নীতির কোন ছাপ যেন তার গায়ে না থাকে। যিনি দলীয় কর্মীসহ ত্যাগীদের মূল্যায়ন ও সাধারন জনগনকে আপন করে নিতে পারবেন। এমন প্রার্থী হলেই সিরাজগঞ্জ-২ আসনে নৌকা বিজয় নিশ্চিত হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মী মো. মিলন, আব্দুস সামাদ, মো. স্বপন, মো. জহুরুল জন, মো. মজনু সেখ, মো. আব্দুল আউয়াল সেখ, আকমল হোসেন, জুয়েল রানা, শাহিন মুন্সী ও আব্দুল হাই ওজানান, আমরা মনে করি জাতীয় চার নেতার মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী সুযোগ পুত্র উত্তরঙ্গের কৃতি সন্তান সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোহাম্মদ সেলিম এমপির সুযোগ্য সন্তান শেহেরিন সেলিম রিপন। একারনে তাকে সিরাজগঞ্জ-২ আসনে তাঁকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে গন্য করা হচ্ছে। তিনি মনোনয়ন পেলে আমরা মনে করছি সাধারন মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মী এবং ত্যাগী নেতাকর্মীসহ যে সমস্ত নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন যাবত অবহেলিত ও বঞ্চিত হয়ে রয়েছে তারা একজোট হয়ে নৌকা বিজয়ী করতে নির্বাচনী মাঠে ঝাপিয়ে পড়ব।
শেহেরিন সেলিম রিপন বলেন, আমার দাদা ক্যাপ্টেন এম.মনসুর আলী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্থপতি ও কারিগরের মধ্যে অন্যতম একজন। তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বিশেষ করে সিরাজগঞ্জবাসী উন্নয়ন করেছেন, সেবা করেছেন, মানুষের সুখে-দুখে পাশে থেকেছেন। মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি দেশ ও বঙ্গবন্ধুর সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেননি। তিনি দেশ এবং বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন বিসর্জন দিতে দিয়েছেন। আমার বাবা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। সিরাজগঞ্জের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি মানুষের জন্য সততার সাথে কাজ গেছেন। আমার শরীরে তাদের রক্ত বহমান। আমি কিভাবে বিদেশপাড়ি জমিয়ে বিলাস বহুল জীবন উপভোগ করতে পারি ? বাপ-দাদার দেশ প্রেমের রক্তের টান আমাকে দেশে নিয়ে এসেছে। শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে আমি রাজনীতির মাঠে নেমেছি। ওভারঅল আমার একটাই কথা আমি আমার দাদা এবং বাবার মতো দেশের জন্য বিশেষ করে সিরাজগঞ্জের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আর একজন পার্লামেন্ট সদস্যই মানুষের দু:খ-কষ্ট অনুধাবন করে মানুষের স্বার্থের বিষয়গুলো পার্লামেন্টে উপস্থাপন করে সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে পারেন। সে লক্ষ্য নিয়ে আমি মাঠে নেমেছি। আশা করছি দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে তার নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করার সুযোগ দিবেন-ইনশাআল্লাহ।