শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে: র‌্যাব ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন বিমানে বোমা আছে সমুদ্র অভিযানে সাহসিকতার জন্য আইএমও’র স্বীকৃতিস্বরূপ প্রশংসাপত্র পেল কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টায় দিন-রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ‌‘সরকার জনগণের জানমাল ও সম্মান রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ’ গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি গাইবান্ধায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বানাচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল

কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত জনজীবন, হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা

রিপোর্টারের নাম / ১১৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪, ৬:১২ অপরাহ্ন

  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

তাপমাত্রা কিছুটা উঠা নামা করলেও কুড়িগ্রামে কমেনি শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন।

কুয়াশায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। টানা পাঁচদিন দেখা মিলছে না সূর্যের।

এ অবস্থায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা লোকজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রী থেকে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের উত্তাপ ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়েছে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হাজার হাজার মানুষ।

শীত ও ঠান্ডার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্কারা।

এদিকে ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ৩১ জন শিশু। সবমিলিয়ে হাসপাতালটিতে ৭২ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ডাইরিয়া ওয়ার্ডের ১২ শর্য্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৫৭ জন শিশু।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড় এলাকার নির্মাণ শ্রমিক রশিদ মিয়া বলেন, ৩-৪ দিন থেকে ঠান্ডায় অবস্থা খুব খারাপ। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। হাত পা বরফ হয়ে যায়। রাতে ও সকালে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। আমরা যারা দিন করে দিন খাই, তারা সবাই কষ্টে আছি।

একই এলাকার দিনমজুর হোসেন আলী বলেন, খুব ঠান্ডা কাজ করতে পারছি না। খুব একটা সমস্যাত পড়ি গেছি ঠান্ডার জন্যে। একদিন কাজ হয় তা, আর একদিন নাই। রাত ও সকালে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন এমন থাকবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এ জেলাটি হিমালয়ের কাছে অবস্থান হওয়ায় এখানে ঠান্ডার প্রকোপটা একটু বেশি। হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন অধিকাংশই চরাঞ্চলের মানুষ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir