বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

ভাগ্নে কাফি পুড়িয়েছে ছাত্রদের-মামা মাসুদ পোড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে  বিএনপিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: / ১৩৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন

ত্যাগীদের মুল্যায়ন করবে তারেক রহমান-দাবী তৃনমুল কর্মীদের

ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. আব্দুল্লাহিল কাফি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের গুলি করে হত্যার পর নির্মমভাবে পুড়িয়েছে। সে বর্তমান জেল হাজতে রয়েছে। কাফির মামা সিরাজগঞ্জের ছোনগাছার বাসিন্দা মাসুদ ওরফে গোয়েন মাসুদ আওয়ামীলীগের এজেন্ট হয়ে উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির ঐক্যকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। ভাগ্নে খুনী কাফির ক্ষমতার দাপটে আওয়ামীলীগ সরকার আমলে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। সেই মাসুদ ওরফে গোয়েন মাসুদ বিগত ১৬ বছরে যাদের ফ্যাসিষ্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম এক ঝলক মাঠে দেখা যায়নি, এমনকি ১৬ বছরে শহীদ জিয়া অমর, খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ বলতে সাহস পায়নি, ১৬ বছরে একটি মামলার আসামী হয়নি, দিয়ারধানগড়ার হিটলার ভাইয়ের চোখ নষ্ট হয়েছে, সেই মামলার স্বাক্ষী হতে সাহস পায়নি, উল্টো আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ও আওয়ামীলীগের অত্যাচার দেখে গর্ত থেকে উকি দিয়ে মুচকি মুচকি হেসেছে, যারা ৫ আগষ্টের পর গর্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে, সেই হুমায়ুন ইসলাম খান টিআর এম. নুরে আলম হেলালসহ কতিপয় নেতার সাথে আতাত করে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির ঐক্যকে নষ্ট করতে তাদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিচ্ছে। বিএনপি নামধারী আওয়ামীলীগের এজেন্ট মাসুদ নিজ টাকা খরচ করে এই সব সুবিধাবাদী নেতাদের গাড়ী ভাড়া করে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছে, আলীশান হোটেলে রাখছেন ও দামী খাবার খাওয়াচ্ছেন। এমনকি গাড়ীতে করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বাড়ী, অফিসে নিয়ে যাচ্ছে। নেতাদের কাছে গিয়ে ১৬ বছরের রাজনীতির রাজপথের লড়াকু সৈনিক, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির বটগাছ, যার নির্দেশে সিরাজগঞ্জের সকল আন্দোলন সফল হয়েছে, সিরাজগঞ্জের বিএনপির বিএনপির নেতাকর্মীর আস্থাভাজন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বারবার আওয়ামীলী সন্ত্রাস বাহিনীর হামলার শিকার, যার শরীরের এখনো বুলেট রয়েছে, মাঠে থেকে নেতৃত্বদানকারী উত্তরবঙ্গের একমাত্র নারী নেত্রী ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদ, এবং সরাসরি মাঠে থেকে বিএনপির সকল আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী, স্বৈরাচার আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের কানে কানে তাদের মুখে ফেনা তুলছে। সিরাজগঞ্জের রাজনীতিতে এইসব নেতাদের নাম গন্ধ না থাকলেও ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফটোশন করে নিজেদের বড় বিএনপি বলে জাহির করতে চাচ্ছেন। সুবিধাবাদী এসব কর্মী ও জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের কর্মকান্ড দেখে তৃনমুল বিএনপির নেতাকর্মীরা হতবাক ও হতভম্ব।

 

বিগত ১৬ বছরে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান লেবু, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, সহ-সভাপতি অমরকৃষ্ণ দাস, যুগ্ম সম্পাদক ভিপি শামীম, নুর কায়েম সবুজ, যুগ্ম সম্পাদক  রাশেদুল হাসান রঞ্জন, দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন,  স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা বাবু, সাধারন সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, থানা যুবদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বরাত, সাধারন সম্পাদক তৌহিদুল আলম, ছাত্রদলের সভাপতি জোনায়েদ আহমেদ সবুজ, সাধারন সম্পাদক সেরাজুল ইসলাম সেরাজ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সানোয়ার হোসেনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এদের প্রত্যকেসহ সিরাজগঞ্জের প্রায় ১৮ হাজার নেতাকর্মী মামলার আসামী হয়েছে-জেলজুলুম খেটেছে। প্রতিদিন নেতারা সিরাজগঞ্জ  কোর্টে হাজিরা দিয়েছে। এসব পরীক্ষিত নেতাদের শরীরের এখনো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে মেরি খাতুনসহ অনেকে অন্ধ হয়ে গেছে। আবু সাইদ সুইট, রাশেদুল হাসান রঞ্জনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর শরীরের বুলেট রয়েছে। জেলে থাকা অবস্থায় অনেকে বাবা হারিয়েছেন, অনেকে জানাযা পড়তে পারেনি। অনেকে হাতকড়া পড়ে জানাযায় অংশগ্রহন করেছে।

৫ আগষ্টের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এসব নেতাকর্মীরা দল গোছানোর কাছে ব্যস্ত রয়েছে। দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে সভা-সমাবেশ ও তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

 

কিন্তু হুমায়ুন ইসলাম খান ও  টিআরএম নুরে আলম হেলালসহ হাতেগোনা ৫-৬জন নেতা ৫ আগষ্টের পর থেকে ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে পদ নেয়ার জন্য ঘুরঘুর করছে। তৃনমুল নেতাকর্মীরা বলছেন,  যারা ১৬ বছর রাজপথে রক্ত দিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। দলের জন্য রঞ্জু, লতিফ ও সুমন প্রাণ হারিয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে। অনেকের স্বামী দলের জন্য জেলে থাকায় স্ত্রীরা নানা হয়রানি ও লালসার শিকার হয়েছে। সেই সব ত্যাগী নেতাদের যুদি সুবিধাবাদী ও ১৬ বছর পর ইদুর গর্তে থেকে বের হয়ে দলের পদ নিয়ে তাদের উপর খবরদারি করে তবে আগামীতে সিরাজগঞ্জে বিএনপির জন্য একটি ভয়ংকর দিন পার হবে। কর্মীবিচ্ছিন্ন, রাজপথ বিচ্ছিন্ন নেতারা যদি রাজপথের লড়াকু সৈনিকদের পরিচালনা করতে চায় তবে তা বিএনপির রাজপথের সৈনিকরা মেনে নিবে না, বরং দলের জন্য বুমেরাং হয়ে যাবে। সিরাজগঞ্জের তৃনমুল নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজপথের লড়াকু, হামলা-মামলায় নির্যাতিদের মুল্যয়ান করবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন। এছাড়াও দলের তৃনমুল নেতাকর্মীরা সিরাজগঞ্জের রাজনীতি শক্তিশালী করতে মাসুদ ওরফে গোয়েন মাসুদের মতো আওয়ামীলীগের এজেন্টসহ সুবিধাবাদীদের জেলার পদতো দুরের কথা চিরতরে বহিস্কারের দাবী জানিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, গত ১৬ বছরে বিএনপির লড়াকু নেতাকর্মীদের রাজপথে এবং কোর্টের বারান্দায় ঘুরে সময় পার করেছি। দলের দু:সময়ে এক সেকেন্ডের জন্য পিছপা হয়নি। টুকু ভাইয়ের নির্দেশনায় সকল আন্দোলন সংগ্রাম দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বাস্তবায়ন করেছি। আজ দলের সুসময়ে কতিপয় সুবিধা কতিপয় নেতা বের হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে গত ১৬ বছরে একটি মামলা হয়নি। কোনদিন কোর্টের বারান্দায় যায়নি। তারা প্রকৃত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দলের হাইকমান্ডসহ তারেক রহমানের নানা মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমরা বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করি, দেশ নায়ক তারেক রহমান একজন সুদক্ষ রাজনীতিবিদ। তিনি ত্যাগীদের অবশ্যই মুল্যায়ন করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir