সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য হযরত আলীর বিরুদ্ধে টাকা ছাড়া সরকারি বিভিন্ন ভাতার কার্ড না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আবার ঘুষের টাকা কম হওয়ায় কার্ড দেননি এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিছু অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হলেও তার ঘুষ লেনদেন এখনও কমেনি।
ইউনিয়নের চকশিয়ালকোল গ্রামের রুখসানা খাতুন বলেন, আমার মেয়ে গভবর্তি হওযার পর আমাদের এলাকার মেম্বর আব্দুস সালামের কাছে গেলে সে জানায় তার কাছের কার্ড তালিকা করা শেষ হয়েছে। তখন সে হযরত মেম্বরের কাছে ফোন করে আমাকে তার কাছে পাঠিয়ে দেয়। তার কাছে গেলে সে আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তিতে কার্ড চাইতে গেলে হযরত মেম্বর আরো ৩ হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় সে মেয়ের নামে কোন কার্ড করে দেয়নি। আবার ঘুষ দেওয়া টাকা আজও ফেরত দেয়নি।
এছাড়াও হযরত আলীর বিরুদ্ধে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড (টিসিবি) কার্ডসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতার কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রেও টাকা দিতে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ঘরের মধ্যে বসে অনেকের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন আর টিসিবির কার্ড দিচ্ছেন হযরত আলী।
হযরত আলীর বিরুদ্ধে এরআগে উত্থাপিত একটি অভিযোগের তদন্ত করছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ মেরাজ হোসেন মিসবাহ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হযরত আলী মেম্বরের বিরুদ্ধে উত্থাপিত একটি অভিযোগের বিষয়ে আমি তদন্ত করছি। রবিবার (আজ) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্বের একটি অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য হযরত আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য হযরত আলী বলেন, অভিযোগকারীরা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নেয়নি।