দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরেই যেন নতুন উদ্যমে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দুই অর্ধে দুই ফুটবলারের গোলে ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়লো স্বাগতিকরা।

এদিন জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের অভিষেক ম্যাচেই জ্বলে উঠেছিল ফাহমিদুল ইসলাম, বাম দিক থেকে তার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে উঠেছিল ভুটানের রক্ষণভাগ। যদিও ম্যাচের প্রথম গোল এসেছে হামজার হেড থেকে। ম্যাচের মাত্র ষষ্ঠ মিনিটেই বাংলাদেশের কাপ্তান জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে হেডে গোল করে জাতীয় দলের হয়ে নিজের প্রথম গোলটি তুলে নেন এই মিডফিল্ডার। শুধু গোলই নয়, মাঝমাঠে তার নিয়ন্ত্রিত খেলা এবং পাসিং-ভিশন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে— বাংলাদেশের মিডফিল্ডে একজন বিশ্বমানের সংযোজন হয়ে গেছেন।

অন্যদিকে, ইতালির লিগে খেলা অভিষিক্ত ফাহমিদুল ইসলাম পুরো প্রথমার্ধে একাধিকবার নিজের গতিময় রানে ভুটান রক্ষণভাগকে ভোগান্তিতে ফেলেছেন তিনি। লেফট উইং থেকে বেশ কয়েকবার ক্রস, পাস কন্ট্রোল এবং আক্রমণ গোছানোয় তার মুন্সিয়ানা ছিল নজরকাড়া। জাতীয় দলের জার্সিতে এটাই তার প্রথম ম্যাচ হলেও আত্মবিশ্বাসের কোনো ঘাটতি ছিল না।

মাঝমাঠে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে কাজেম শাহও। জামাল-হামজা ও কাজেমের মাঝমাঠের কেমিস্ট্রিতে ভুটান প্রায়ই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। এদিন জাতীয় দলের মিডফিল্ডে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দেখা যায় জামাল ও হামজাকে, আর শুরুতেই তার সুফল মিলেছে। পাশাপাশি, কাজেম শাহও মাঝমাঠে দারুণ কার্যকর ছিলেন।

ম্যাচের শুরুতেই একবার গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি জামাল। তবে ষষ্ঠ মিনিটে তার কর্নার থেকেই হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হামজা চৌধুরী। আর দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের বাইরে থেকে সোহেলের গোলে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।


আগামী ১০ জুন এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে এই ম্যাচের পারফরম্যান্স কাবরেরার শিষ্যদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিবে। আর ফাহমিদুলের মতো তরুণদের অভিষেক যে ম্যাচের চেহারা বদলে দিতে পারে, সেটিও যেন আজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এবার দেখার বিষয়, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও এমন জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারে কিনা বাংলাদেশ ফুটবল দল।