সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় একদিকে চলছে নতুন বিয়ের পর বৌভাতের জমকালো আয়োজন, অন্যদিকে সব আনন্দ ছাপিয়ে উঠেছে এক নারীর কান্নার রোল। আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে চলছে টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা। সলঙ্গার ভরমোহনী গ্রামে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী চম্পা খাতুন (৩৫)।
জানা যায়, ভরমোহনী এলাকার আজাদ মণ্ডলের ছেলে নাঈম মণ্ডলের (২৫) সঙ্গে একই এলাকার চাঁদ আলীর মেয়ে চম্পা খাতুনের (৩৫) গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভালোবাসার টানে প্রায় বছরখানেক আগে তারা গোপনে বিয়ে (নিকাহ) সম্পন্ন করেন এবং ঢাকায় একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন।
কিন্তু সেই ভালোবাসার বিশ্বাসে চরম আঘাত হানে নাঈম। গত শুক্রবার (ঘটনার দিনের আগের দিন) তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসে পারিবারিকভাবে তার খালাতো বোন, পাঠধারী এলাকার আসলাম হোসেনের মেয়েকে ধুমধাম করে বিয়ে করে ঘরে তোলেন।
এই বিয়ের খবর পাওয়া মাত্রই যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে চম্পা খাতুন তাদের বিয়ের কাবিননামা হাতে নিয়ে সরাসরি নাঈমের বাড়িতে উপস্থিত হন এবং স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন শুরু করেন।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে নতুন বউকে নিয়ে বৌভাতের রান্না ও অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি, অন্যদিকে প্রথম স্ত্রীর কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে বাড়ির পরিবেশ। চম্পা খাতুন তার ভালোবাসার স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি টাকাপয়সার মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
নববধুর পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়, আত্মীয় হলেও নাঈম যে আগেই গোপনে বিয়ে করেছে তা আমরা জানতাম না। জানলে কোনদিনই তার সাথে আমাদের মেয়েকে বিয়ে দিতাম না। এখন বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা চলছে।
এদিকে চম্পা খাতুনের পরিবারের লোকজন জানায়, বিষয়টি টাকা পয়সা দিয়ে মিটমাটের জন্য আক্তার মন্ডল ও জুবায়ের বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে।