মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

বিদেশে উচ্চশিক্ষার লোভ দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়েছেন বিএসবির বাশার

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা / ৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ৭:২৯ অপরাহ্ন

বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান এম কে খায়রুল বাশার কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি বলছে, এই প্রতারণার কাজে তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানকে ব্যবহার করেছেন। প্রতারিত অনেক শিক্ষার্থীর নামে কোনো আবেদনই বিদেশি প্রতিষ্ঠানে করা হয়নি, আবার অনেকেই বিদেশে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে পড়েছেন বিপদের মধ্যে।

সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে এই খায়রুল বাশারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, খায়রুল বাশার দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্র গড়ে তোলেন। ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ’— এই আশ্বাসের আড়ালে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

চটকদার বিজ্ঞাপন, ভুয়া ভিসা প্রসেসিং, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া প্রতিনিধিত্বের নাম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরাসরি অফিসে এবং বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে টাকা আদায় করে।

সিআইডির তদন্তে দেখা যায়, প্রতারিত অনেক শিক্ষার্থীর নামে কোনো আবেদনই বিদেশি প্রতিষ্ঠানে করা হয়নি, আবার অনেকেই বিদেশে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে পড়েছেন বিপদের মধ্যে।

মামলাটির প্রাথমিক তদন্তকালে এখন পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অনেকেই এনআই অ্যাক্টসহ প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, অভিযুক্তরা গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ নিজেদের নামে ও অন্যদের নামে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করে তা দিয়ে স্থাবর সম্পদ ক্রয়, ব্যবসা পরিচালনা, এবং অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে গুলশান থানাসহ সারাদেশে একাধিক মামলা রুজু করেছে।

সিআইডি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অপরাধগুলো অনুসন্ধান করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে গুলশান থানায় মামলা রুজু করে। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir