নাটোরের বড়াইগ্রামে ৬ একর জমি জবরদখলের চেষ্টা ও একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের কায়েমকোলা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী কৃষকেরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল মালেক। এ সময় অন্যান্য ভূক্তভোগী কৃষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্য সুত্রে জানা যায়, ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ১৮ বিঘা জমি নিয়ে কায়েমকোলা গ্রামের খাদেম প্রামাণিক, আব্দুল খালেক প্রামাণিক ও আব্দুল মালেক সরদারসহ তাদের স্বজনদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল লতিফ ও আওয়ামীলীগ নেতা দিলীপের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে আব্দুল খালেক প্রামাণিক বাদী হয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলা করেন। কিন্তু আদালতে মামলা চলাকালেই প্রতিপক্ষ আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুল লতিফ লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক সে জমি জবরদখল ও গাছের আম পেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। শুধু জবরদখলের চেষ্টা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, বরং এসব জমির ভোগদখলীয় মালিক নিরীহ কৃষকদের নামে তিনটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন তারা। গত বৃহস্পতিবারও তারা এসব ব্যাক্তিদের নামে হুমকি দেয়ার কথিত অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
এ ব্যাপারে আব্দুল খালেক প্রামাণিক বলেন, আমরা আমাদের ওয়ারিশসুত্রে যেটুকু পাই, সেটুকই ভোগ-দখল করছি। কিন্তু আব্দুর রাজ্জাকসহ তার স্বজনরা দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছেন। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে পথে বসানোর উপক্রম করেছেন তারা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রতিপক্ষের আব্দুল লতিফ বলেন, এসব জমি আমাদের। তারা আওয়ামীলীগের পতনের পর আমাদেরকে এসব জমিতে যেতে দিচ্ছে না। তাছাড়া নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। সে কারণে আমরা থানায় গিয়েছি।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।