শনিবার (২১ জুন) রাতে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো, সিরাজগঞ্জ সদরের খয়াপাড়া আব্দুল মালেক (২৮), বেলকুচি উপজেলার মুলকান্দিচরের ইউসুফ আলী (২৮), টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার শামশৈল গ্রামের শাহ আলম (৪০), টাঙ্গাইল সদরের চরকুমলি গ্রামের হাসান মন্ডল (২৫), একই এলাকার আমির হোসেন (৪৫), ধুলবাড়ি গ্রামের ইসমাইল ব্যাপারী (৫৩) ও ভূয়াপুর উপজেলার ছোট নলছিয়াপাড়ার শাহিদ ওরফে সাঈদ (৪১)।
সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি একরামুল হোসাইন জানান, ২০ মে রাতে চৌহালী উপজেলার মুরাদপুর যমুনা নদীর চরে ডাকাত দলের ১০/১২জন সদস্য নৌকাযোগে ঘটনাস্থলে পৌছে একটি অস্থায়ী গরুর খামারে হানা দেয়। ওই সময় তারা গো-খামারী তারা মিয়া (৬৫) ও তার নাতি ইব্রাহিম খলিলকে (১৮) হাত, পা, চোখ ও মুখ গামছা ও রশি দিয়ে বেধে ফেলে। এরপর তারা খামারে থাকা ৩টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে পরের দিন সকালে ঘটনাস্থল থেকে তারা মিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এ অবস্থায় ২০ জুন রাতে টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর, কালিহাতি ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর থেকে লুট হওয়া একটি গরু উদ্ধার করা হয়। শনিবার (২১ জুন) বিকেলে গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করা হয়। ওই সময় তারা প্রত্যেককে ডাকাতি ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ওমর ফারুক তাদের জবানবন্দি রের্কড করেন। এরপর সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।