রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

আশুরার দিনের ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক: / ২০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
- সংগৃহীত ছবি

আশুরার দিন তথা ১০ মহররম ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। নবী করিম (সা.) থেকেও এই দিনটির বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে এসেছে, ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে কখনো কোনো বিশেষ দিনের রোজা রাখার এতটা আগ্রহ ও গুরুত্ব দিতে দেখিনি, যতটা তিনি এই দিন আশুরার দিন এবং এই মাস রমজান মাসকে দিতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ২০০৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৩২)

অর্থাৎ ইবনে আব্বাস (রা.) রাসুল (সা.)-এর আমল থেকে বুঝেছেন যে নফল রোজার মধ্যে তিনি আশুরার রোজাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন; অন্য কোনো নফল রোজার এত আয়োজন ও গুরুত্ব তিনি দিতেন না।

অন্য হাদিসে এসেছে, ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে আরো বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, রোজা রাখার দিক থেকে কোনো দিন অন্য দিনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব পায়নি—শুধু রমজান মাস এবং আশুরার দিন ছাড়া। (আত-তারগিব ওয়া আত-তারহিব, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩০)

অর্থাৎ রোজার দিক থেকে এই দুই সময়কে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

অন্য হাদিসে এসেছে, আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আশুরার দিনে রোজা রাখলে আমি আল্লাহর কাছে আশা রাখি—তিনি এর বিনিময়ে পূর্ববর্তী এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১১৬২; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৩০)

উল্লেখ্য যে ইবনে মাজাহ-এর এক বর্ণনায় ‘পরবর্তী বছরের গুনাহ’ বলেও এসেছে।

(আত-তারগিব, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ১১৫)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir