যানবাহনের অতিক্তি চাপের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু পুর্ব পাড় এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্ত্বর পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায় যানবাহনের প্রচন্ড চাপ রয়েছে তবে যানজট নেই। ঈদের ঘরে ফেরা মানুষগুলো বাস ও ট্রাকের ছাদে গাদাগাদি করে বাড়ী ফিরছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিপুল পরিমাণ মোটরসাইকেল চলাচল করছে। প্রচন্ড রোদের মধ্যে ঈদের ফেরা মানুষ কিছুটা ভোগান্তি পড়লেও পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ায় ভোগান্তি গায়ে লাগছে না। অন্যদিকে, মহাসড়কে যাতে কেউ ঝুকিপুর্ন ওভারটেক ও লেন মেনে গাড়ি চলাচল করে এজন্য প্রতিটি গুরুত্বপুর্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন জানান, সকাল থেকে গাড়ীর চাপ রয়েছে। তবে কোন যানজট নেই। এবার ভোগান্তি ছাড়াই মানুষজন ঘরে ফিরতে পারছে। আর সেতু কর্তৃপক্ষ মোটরসাইকেলের টোল নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। তারা ছেড়ে দেয়ার কারনে আমরাও মোটরসাইকেল চলাচলে বাধা দিচ্ছি না।
হাইওয়ে থানার পুলিশ সুপার মুনশী শাহাবুদ্দীন জানান, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে ও ভোগান্তিমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের ৫ শতাধিক সদস্য, আনসার সদস্য ও ব্যাটালিয়ন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এবার ঢাকামুখী পশুবাহী গাড়ীগুলো কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী জানান, গাড়ীর চাপ থাকলেও সেতুর উপর কোন যানজট নেই। মোটরসাইকেলের বিষয়ে বলেন, আমাদের কাজ শুধু টোল আদায় করায়। মোটরসাইকেল আটকানো আমাদের কাজ নয়। তারা টোল দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে।