শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন

টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ, ডিলার ও সুবিধাভোগীদের মাঝে হাতাহাতি

রিপোর্টারের নাম / ১৭০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩, ৮:১২ অপরাহ্ন



নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের নগরকান্দায় টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে ডিলারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ওজনে কম, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করায় ডিলারের সাথে সুবিধাভোগীদের হট্রগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। সরকার ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ৬৮৪টি হতদরীদ্র পরিবারের মাঝে টিসিবির পন্য বিক্রয়ের জন্য ইউনিয়নে ডিলার নিয়োজিত করেছেন মেসার্স সত্য স্টোর। পন্যের মধ্যে রয়েছে চিনি ১ কেজি, সয়াবিন তেল ২ লিটার, মশুরির ডাল ২ কেজি ও ছোলা এক কেজি। এই প্যাকেজটির সরকারী মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ৪৭০ টাকা।
সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, এসময় ডিলার ১ কেজি চিনির প্যাকেটে ১৪০ গ্রাম, মশুরের ডালের প্যাকেটে ২৫০ গ্রাম, ছোলার প্যাকেটে ১৫০ গ্রাম করে ওজনে কম দিয়ে বিক্রি করছে। এছাড়াও প্যাকেজের সরকারী নির্ধারিত মূল্য ৪৭০ টাকার স্থলে ৪৮০ টাকা করে আদায় করছে।

ওজনে কম দেওয়া ও অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সংবাদ পেয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল কবির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অফিসকে না জানিয়ে পণ্য বিক্রয় করা অনিয়ম। তাই তিনি বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ করেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নিয়ে ওজন সঠিক করে প্যাকেট তৈরী করে সরকারী নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় শুরু করেন বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান। তবে উনি চলে আসার পর আবারও অতিরিক্ত টাকা আদায় করা শুরু করলে সুবিধাভোগীরা ক্ষেপে যান। এ সময় উত্তেজিত জনতা ডিলারের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে জনতা ডিলারকে কিল ঘুশি মারতে দেখা যায়। পরে ইউপি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বাউয়ালী বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কারনে জনতা ক্ষেপে যায়। আমি ও অন্যান্য মেম্বররা বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেই। এখন আর বেশী টাকা নেওয়া হচ্ছেনা।

অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে ডিলার সত্য রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, আমার যাতায়াত, প্যাকিং খরচ সরকার যা দেয় তাতে হয় না তাই ১০ টাকা বাড়িয়ে নিচ্ছি। ওজনে কম দেওয়ার ব্যাপারে ডিলার বলেন, প্রত্যেক প্যাকেট সমান হয় না। কিছু কিছু প্যাকেটে একটু কম থাকতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হক বলেন, উক্ত ডিলার আমাকে এবং তদারকি কর্মকর্তাকে না জানিয়ে পণ্য বিক্রয় শুরু করেছে। সেখানে পণ্য বিতরণে কিছু অনিয়ম হচ্ছে এ সংবাদ পেয়ে পিআইও সাহেবকে পাঠিয়েছিলাম। উনি গিয়ে পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দেন এবং অনুমতি নিয়ে ওজন সঠিক করে বিক্রি করার কথা বলে এসেছেন। কিন্তু ডিলার কোন কিছু তেয়াক্কানা করেই সাথে সাথেই আবার একই কায়দায় বিক্রি শুরু করেছেন। যেহেতু ডিলার অনিয়মেরআশ্রয় নিয়েছে তাই তার লাইসেন্স বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি সুপারেশ পাঠাবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir