পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যু রোধকল্পে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের নিয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুৎফুন্নেসা খানম এর সভাপতিত্বে সতেনতামূলক এ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারন্যান দিলরুবা মিলন নাহার, ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এনামুল হক, উপজেলা জেপির আহবায়ক পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান মো: শাহীন হাওলাদার, চেয়ারম্যান, পাড়েরহাট ইউপি চেয়ারম্যান মো: কামরুজ্জামান শাওন, উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুন্নেসা সুমি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: নুর উদ্দিন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মৃধা মো: মনিরুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,মো: মুনিরুজ্জামান সিকদার, মীর মুক্তিযোদ্ধা আ: লতিফ হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার রায়, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, মো: শেখ মঞ্জুর এলাহী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়ের, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মো: আহসান, মেহেউদ্দিন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো: হেলাল উদ্দিন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: আবু জাফর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মো: নুরুজ্জামান শরীফ, প্রেসক্লাব সভাপতি এইচ এম ফারুক হোসাইন, ইন্দুরকানী রিপোর্টার্স ইউনিটর সভাপতি জে আই লাভলু, সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বাব, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির গ্রুপ প্রধান সাব্বির, মধু সহ উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ, সকল মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ, মসজিদের ইমামবৃন্দ, উপজেলা রেডক্রিসেন্ট এর সদস্যবৃন্দ, সকল ইউনিয়নের ইউপি সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, তিন দিকে নদী আর অসংখ্য খাল বেস্টিত আমাদের এ ইন্দুরকানী উপজেলাটির অবস্থান। দক্ষিনের উপকূলীয় এ উপজেলাটিতে গত কয়েক বছর যাবত উদ্বেগ জনক হারে বেড়েছে পানিতে ডুবে শিশু মুত্যুর ঘটনা। গত বছর ২০২২ সালে এ উপজেলায় পানিতে ডুবে মারা গেছে মোট ২৪ জন শিশু। চলতি বছর ২০২৩ সালের জানুয়ারী থেকে বর্তমান মে মাসে এখন পযন্ত ৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে।আর পানিতে পড়ে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এ সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশি। সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে সেউতিবাড়িয়া গ্রামের আবিদা (৩) এবং চাড়াখালী গ্রামের রাকিব (৪)নামের দুই শিশু খালের পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
যেহেতু ভৌগলীক দিক দিয়ে এ উপজেলাটি নদী আর অসংখ্য খাল বেস্টিত সেহেতু শিশুদের পানিতে পড়ার ঝুঁকিও এখানে অনেকাংশে বেশি। বিশেষ করে আমাদের এলাকায় বর্ষা মৌসুমে খাল,পুকুর,ঘরের আশপাশের ডোবা,ব্যার অতিবৃস্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকে। তাই এই সময়ে এসব দূর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে। তাই ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে এ বিষয়ে মাইকিং করে অভিভাবকদের সচেতন করা, স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগীদের,মসজিদে জুম্মার নামাজের সময়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ এবং স্কুল, মাদরাসা গুলোতে ক্লাসের ফাঁকে এ বিষয়ে সচেতনতা মূলক আলোচনা করা এবং স্থানীয় এনজিও গুলো বিভিন্ন গ্রামে উঠান বৈঠক করে এ বিষয়ে জনসাধারণকে সচেতন করা এবং ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের দ্বারা এ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা মূলক প্রচারাভিযান চালানো। এছাড়া শিশু মৃত্যু রোধ কল্পে ঘরের পাশে, পুকুর, ডোবা, ব্যার, জলাশয় ও খালের অবস্থান হলে নেট, জাল কিংবা শক্ত বেড়া দিয়ে শিশুদের জন্য নিরাপত্তা বেস্টনী দিতে হবে।