সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সিরাজগঞ্জে শিশু কন্যাকে হত্যার পর বস্তাবন্দী করে পালাল সৎমা শিগগিরই ‘শক্তিশালী আন্দোলন’ শুরু হবে: নাহিদ টঙ্গীতে মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক মাহফুজকে হত্যা পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা; আনসার সদস্যদের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ সত্য নয়: আনসার ডিজি আবারও সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলো ডিএমপি সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হতে পারে:স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কুড়িগ্রামকে মাদকমুক্ত করতে অভিযান চলবে-জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা  টাঙ্গাইলে ঘাটাইলের জোরদিগিতে মসজিদের নামে জমি দান করায় দানকারীর বিরুদ্ধে ৬টি মিথ্যা মামলা  বিএনপির বিরুদ্ধে  ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে  কাজিপুরে বিক্ষোভ মিশিল  

ঝড়ে পড়া আমের কেজি মাত্র দুই টাকা!

রিপোর্টারের নাম / ২৩৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩, ৫:০১ অপরাহ্ন

নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরে লালপুরে দফায় দফায় কালবৈশাখী ঝড়ে বাগানের শতশত মণ আম ঝরে পড়েছে। সেই আম পাড়া-গ্রামে ও পাইকারি বাজারে মাত্র দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে চরম হতাশায় পড়েছেন স্থানীয় আমচাষিরা।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে লালপুর উপজেলায় ১ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে এ বছর আমের চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫ হেক্টর বেশি। আর উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ১৫০ মেট্রিকটন। তবে ঝড়ে পড়া আমের পরিমাণ পাওয়া যায় নি।

উপজেলার দুড়দুড়ীয়া, মনিহারপুর, গন্ডবিল, বেরিলাবাড়িসহ তার আশেপাশের এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা আম বাগান, গ্রাম ও বাজার থেকে প্রতিকেজি ঝড়ে পড়া আম কিনছেন মাত্র ২ টাকা কেজি দরে। এসব আম কিনে শত শত মণ আম বস্তাভর্তি করে জড়ো করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আর এসব আম দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন এসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।

উপজেলার আমচাষি রেজাউল করিম বলেন, মৌসুমের শুরুতেই তীব্র খরায় আম নিয়ে বিপাকে পড়ি। গাছের গোঁড়ায় রস না থাকায় বোঁটা শুকিয়ে গুটি ঝরে পড়া শুরু হয়। এর মাঝে আবার আঘাত হানে কালবৈশাখী। সব মিলিয়ে অন্তত ৪০ মেট্রিকটন আম ঝরে গেছে। এসব আম মাত্র দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।

আম ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার প্রায় ৫শ’ বস্তা আম কিনেছেন। খরচসহ এসব
আমের দাম পড়েছে প্রায় ১০০ টাকা মণ। তার কেনা আম ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন।

তার মতো অনেকেই আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন বলে জানান।

এবিষয়ে লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, চলিত মৌসুমে বাগানগুলোতে ব্যাপক মুকুল এসেছিল। ঝড়ে পড়ে যাওয়ার পর এখনো গাছে যে আম আছে, চাষিরা সঠিকভাবে সেগুলোর যত্ন নিলে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে। এবং তাতেই আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir