ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের চেয়েও বাংলাদেশ সুখী দেশ। মার্কিন অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যাঙ্কের বার্ষিক দুর্দশা সূচকে (এইচএএমআই) এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। বার্ষিক দুর্দশা সূচকে বিশ্বের দুর্দশাগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। আর সবচেয়ে কম দুর্দশাগ্রস্ত দেশ সুইজারল্যান্ড। দুর্দশা সূচকে সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত ১৫টি দেশের তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো- জিম্বাবুয়ে, ভেনেজুয়েলা, সিরিয়া, লেবানন, সুদান, আর্জেন্টিনা, ইয়েমেন, ইউক্রেন, কিউবা, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, হাইতি, অ্যাঙ্গোলা, টোঙ্গা এবং ঘানা।
কম দুর্দশাগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় সুইজারল্যাণ্ডের পর যথাক্রমে রয়েছে- কুয়েত, আয়ারল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, নাইজার, থাইল্যান্ড, টোগো এবং মাল্টা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ১৫৭টি দেশের মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, ব্যাংকের সুদহারসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করে এ সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫। বাংলাদেশের দুর্দশার প্রধান কারণ বেকারত্ব। এ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২০ দশমিক ১০৭। সূচকে বাংলাদেশের চাইতে ভারত-পাকিস্তান যেমন পিছিয়ে রয়েছে- তেমনি পেছনে রয়েছে ইউরোপের কিছু দেশও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, ইতালি, স্পেন, সুইডেন, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি উল্লেখযোগ্য। ভারতের অবস্থান তালিকায় ১০৩। বাংলাদেশের মতো ভারতেরও দুর্দশার প্রধান কারণ বেকারত্ব। পাকিস্তানের অবস্থান ৩৫। দেশটির দুর্দশার প্রধান কারণ মুদ্রাস্ফীতি। বিশ্বের দুর্দশাগ্রস্ত দেশের তালিকা তৈরির ধারণাটি ছিল মার্কিন অর্থনীতিবিদ আর্থার ওকুনের। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রথম এই সূচকটি তৈরি করেছিলেন। পরে এর সংশোধন আনেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রবার্ট ব্যারো। পরে আরও সংশোধন আনেন স্টিভ হ্যাঙ্ক। সূচকটি তৈরিতে ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, ইকোনমিক আউটলুক এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।