শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

ছয় মাসে ১৬ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার

রিপোর্টারের নাম / ১০৫ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে

ছয় মাসে প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার। চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই তেল আমদানি করা হবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) পাঁচ ধরনের মোট ১৫ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন তেল আনবে। সিঙ্গাপুরের দু’টি কোম্পানি থেকে এই তেল আমদানিতে খরচ পড়বে ১২ হাজার ২৭৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, চলতি মাস জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির লক্ষ্যে ৫টি প্যাকেজে বিভক্ত করে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে ২টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করা হবে। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান (১) ইউনিপেক সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর (প্যাকেজ-এ ও ই) এবং (২) ভাইটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সিঙ্গাপুর (প্যাকেজ বি, সি ও ডি) থেকে মোট ১৫ লাখ ৮৫ হাজার মে. টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১১২ কোটি ৬০ লাখ ৯৬ হাজার ২৫৪ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রায় ১২ হাজার ২৭৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

২০১৬ সাল থেকে বিপিসি দেশের মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ জ্বালানি তেল কোটেশন প্রক্রিয়ার (দরপত্র) মাধ্যমে আমদানি করে থাকে। জ্বালানি তেলের পরিমাণকে ৫টি প্যাকেজে (এ, বি, সি, ডি এবং ই) বিভক্ত করে ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক কোটেশন আহ্বান করা হয়। দরপত্রের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোট ৭টি দরপত্র জমা পড়ে।
এরপর একটি একক দরপত্রের মাধ্যমে ৫টি প্যাকেজের আওতায় জ্বালানি তেল ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। দর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক একজন দরদাতাকে ৫টি প্যাকেজের সব কয়টি অথবা যেকোনো সংখ্যক প্যাকেজের জন্য দরপ্রস্তাব করার সুযোগ রাখা হয়। চাহিদার বিপরীতে আমদানিতব্য পরিমাণে ফ্লেক্সিবিলিটি বিবেচনা করে কোটেশন প্রক্রিয়ায় গ্যাস অয়েল (ডিজেল) আমদানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ চাহিদা বিবেচনা করে পণ্যের মূল্য (প্রিমিয়ামের ভিত্তিতে) নির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিবেচনা করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ৮ জুন অনুষ্ঠিত দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভায় দরপত্রে অংশ নেয়া ৪ প্রতিষ্ঠানের দাখিল করা কোটেশনের কারিগরি ও আর্থিক বিষয়াদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কমিটির প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। প্রাথমিক কারিগরি মূল্যায়নে গ্রহণযোগ্য ৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২টি দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড, সিঙ্গাপুর এবং ইউনিপেক সিঙ্গাপুর পিটিই, সিঙ্গাপুর দরপত্রের সব শর্ত প্রতিপালন করায় তাদের দরপত্র গ্রহণ যোগ্য বিবেচিত হয়।
বিপিসির প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব বাজেট বরাদ্দ, জ্বালানি তেল বিক্রির অর্থ এবং অন্য উৎস থেকে ঋণ নেয়ার মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানির অর্থায়ন করা হবে। প্রযোজ্য লুল্ক ও ভ্যাট বিপিসির নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধ করা হবে।

বিপিসি সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসের জন্য গ্যাস অয়েল আমদানি করবে ১২ লাখ মেট্রিক টন, বাংলাদেশী টাকায় দাম পড়বে ৯ হাজার ৩৮৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। জেট এ-১ এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আমদানিতে ব্যয় হবে এক হাজার ২৮৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ফার্নেস অয়েল এক লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করতে ব্যয় হবে ৬৪৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। মোগ্যাস ৮০ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করতে ব্যয় হবে ৭৫২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং মেরিন ফুয়েল ৩০ হাজার মেট্রিক টন আমদানি করতে ব্যয় হবে ২০৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ সর্বমোট ১৫ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন ৫ ধরনের জ্বালানি তেল আমদানিতে ব্যয় হবে ১২ হাজার ২৭৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir