নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর মান্দায় নিয়োগ বোর্ডের আগেই চার প্রার্থীর কাছ থেকে ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আলালপুর হাজী সেখ আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে গত মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম খোন্দকার। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন আলালপুর হাজী সেখ আলম উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ১২ জন, অফিস সহায়ক পদে ১২জন, নিরাপত্তাকর্মী পদে ৬জন এবং আয়া পদে ৭জন প্রার্থী আবেদন করেন। এরমধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পাচ্ছেন মোঃ আলমগীর হোসেন নামের এক প্রার্থী, নিরাপত্তা কর্মী পদে ১১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পাচ্ছেন মোঃ রায়হান আলী, আয়া পদে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পাচ্ছেন মোছাঃ সাদিয়া আফরিন রুমানা ও অফিস সহায়ক পদে প্রথমে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মোঃ নিজাম উদ্দিন বুলেট নামের এক চাকরি প্রার্থীর সাথে চুক্তি হয় কিন্তু পরে এই পদে ১৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পাচ্ছেন মোঃ বেনজির বাদল নামের অন্য একজন প্রার্থী। এ পদ গুলোর নিয়োগ পরীক্ষা আগামী শনিবার সকাল দশ ঘটিকায় অত্র বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রার্থীদের কাছে পত্র দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগকারী শহিদুল ইসলাম খোন্দকার বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ সহকারী প্রধান শিক্ষক পদসহ অন্যান্য পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে ৪ জন প্রার্থীর কাছ থেকে মোট ৪২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ লোক দেখানো নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করে প্রকৃত মেধাবীদের নিয়োগের দাবী জানায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে কে কি অভিযোগ করেছে তা আমি জানিনা। তবে এই অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ শাহ্ আলম বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।