সিরাজগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঝন্টু বলেছেন, ২০০৮সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলাম। ওই সময়ে আওয়ামীলীগ থেকে আসনটিতে তাদের প্রার্থী জান্নান আরা হেনরীকে বহাল রাখায় তিনিও প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন। যে কারনে দুদলের ভরাডুবি হয়েছিল। এরকম বেশ কয়েকটি আসনে জাতীয় পার্র্টির ভরাডুবি হয়েছিল। এবার যদি জোটগতভাবে নির্বাচন হয় এবং জাতীয় পার্টিকে সিরাজগঞ্জ-২ আসনটি ছেড়ে দেয়া হয়। তবে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের ড. জান্নাত আরা হেনরী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে হবে। যদি প্রত্যাহার করে নেয়া না হয় তবে জাতীয় পার্টি বিষয়টি ভেবে দেখবে। কারন ন্যাড়া একবারও বেলতলা যায়। আমরা আর বেলতলায় যেতে চাইনা। তিনি গ্রাম্যভাষার প্রবাদ উচ্চারন করে বলেন, চুন খেয়ে মুখ পুড়েছে দই দেখে ভয় হয়। এ রকম অবস্থায় আর পড়তে চাই না। রাতে শহরের আমলাপাড়াপস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
একই সময়ে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচনের জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য কেন্দ্র কমিটি গঠন করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা ভোটারের কাছে যেতে শুরু করেছে। ভোটারও লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে অধীর আগ্রহ নিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যত উন্নয়ন সবই এরশাদ সরকারের আমলে হয়েছে। এরশাদের আমলে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রাপ্ত ড.জান্নাত আরা হেনরীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যখন নির্বাচন করেছিলেণ তখন তিনি সামান্য স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। এখন সে শত শত কোটি টাকার মালিক। এতো টাকার উ”স কোথায়? তিনি বলেন গত ১৫ বছরে সরকারের অত্যাচার, দুর্নীতি, লুটপাট, নিপীড়ন, দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতিতে সরকারের প্রতি জনগনের বিশ্বাস উঠে গেছে। জনগন আর এ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা পল্লী বন্ধু এরশাদের দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। তিনি বলেন, এমপি নির্বাচিত হয়ে সিরাজগঞ্জের বেকার সমস্যা, ট্রেনের সমস্যা সমাধানসহ শিক্ষা-স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন এবং উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম চালু করা হবে। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।