ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের চকমোহনবাড়ী এলাকায় প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কবিরাজ’ হিসেবে পরিচিত হলেও বাস্তবে সাধারণ মানুষের সরলতা এবং ভরসার সুযোগ নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফরিদা বেগম ২৫ বছর ধরে কবিরাজি করছেন এবং তাঁর প্রাথমিক অবস্থা দারিদ্র্যতায় নিমজ্জিত ছিল। তবে এখন তিনি নিজ গ্রামে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন এবং বেশ কিছু সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
ফরিদা বেগম বিভিন্ন পদ্ধতিতে গ্রামবাসীর কাছে নিজের ‘চিকিৎসা’ প্রচার করে আসছেন। তাঁর কথিত চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
ফরিদা জঠিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসার নামে যাদু-টোনা এবং ভান মারা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এতে অনেক সহজ-সরল মানুষ প্রতারিত হন।
ছেলে-মেয়েদের প্রেমে আবদ্ধ করা, বিবাহিত জীবন থেকে স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা করা এবং বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁকে অনেকে বিশ্বাস করে থাকেন।
ফরিদা বেগমের কবিরাজি চিকিৎসার কারণে অনেক পরিবারের সামাজিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে। উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। তাঁর মাধ্যমে প্রতারিত অনেকে অভিযোগ করেন যে, তিনি চিকিৎসার নামে মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন এবং সাধারণ মানুষ তাঁর কথায় আস্থা রাখে।
এ ধরনের কার্যকলাপ বেআইনি হওয়ায় স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন। গ্রামবাসীর ভাষ্যমতে, তাঁরা আশা করেন, ফরিদা বেগমের মতো প্রতারক কবিরাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে তাঁরা আর কোনো সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করতে না পারেন।