বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল বিক্ষুব্ধ জনতা ও দেশপ্রেমিক জনগণকে যেকোনো মূল্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা সকল দেশপ্রেমিক জনগণের ঐতিহাসিক দায়িত্ব।’
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘আমি দেশের আলেম-ওলামা, ইসলামপ্রিয় জনতাসহ সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাই, কোনো অবস্থাতেই যেন সহিংসতা না ঘটে।
মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।’
তিনি বলেন, ‘পরিণামে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপ্লব, ক্ষতিগ্রস্ত হবে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে উঠবার সম্ভাবনা। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ। আজ পবিত্র জুমাকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত বিক্ষোভ কিংবা শোডাউনের কর্মসূচি কোনো দায়িত্বশীল মহলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অথবা অন্য কোনো দায়িত্বশীল মহল চলমান সহিংস আন্দোলনের পক্ষে নয়।’
বিবৃতিতে মামুনুল হক বলেন, ‘দেশবিরোধী অপশক্তি, তার দোসর ও পরিকল্পনাকারীরা বসে নেই। জনতার জাগরণের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। ইতিমধ্যে চিন্তাশীল মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে।
আশঙ্কা হচ্ছে-চলমান আন্দোলনকে সহিংসতার রূপ দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে ভয়ংকর চাপের মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ। হাসিনা সরকারের বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আত্মদানকারী আবু সাঈদ-মুগ্ধরা দেশে সফল অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সেখানে পরাজিত অপশক্তির রক্ত ঝরেছে খুব মামুলি। আর এতেই বাংলাদেশের মানুষের ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রমাণ পেয়েছে পৃথিবী।
এতে হয়তো হতাশ হয়েছে দেশবিরোধী অপশক্তি। তবে হতাশ হলেও হাল ছাড়েনি তারা। আর তাই তীব্রভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলমান আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে একটি সহিংস পরিবেশ তৈরি করা হতে পারে। এজন্য এখন সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতনতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।’