৫০২ দিন, প্রায় দেড় বছরও বলা যায় কিংবা ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। মাঝের এই সময়ে কত কিছুই না ঘটেছে এই পৃথিবীতে! তবে একটা জিনিস যা হয়নি, তা হলো ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন নেইমার জুনিয়রের গোল উদযাপন। এই ৫০২ দিনে একবারও গোলের স্বাদ পাননি এই সুপারস্টার।
তবে অবশেষে গোলের দেখা পেলেন নেইমার! সৌদি ক্লাব আল হিলালের হয়ে শেষবার গোলের পর যে জায়গায় থেমেছিলেন, ঠিক সেখান থেকেই যেন নতুন করে শুরু করলেন শৈশবের ক্লাব সান্তোসের হয়ে। নেইমারের এই গোলেই ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে তার দল অ্যাগুয়া সান্তার বিপক্ষে। শুধু গোল করেই থামেননি, একটি অসাধারণ অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকেন নেইমার। তার ফলও মেলে ম্যাচের ১২ মিনিটে, যখন বক্সের ভেতরে ড্রিবল করে ঢোকার চেষ্টা করার সময় ফাউলের শিকার হন। আর নিজেই স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর প্রথমার্ধে আরও একটি গোল করে সান্তোস। তবে ৪৩ মিনিটে অ্যাগুয়া সান্তার নেতিনহো একটি গোল শোধ করেন। যদিও সান্তোস ২-১ ব্যবধানেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া সান্তোস ম্যাচের ৭০তম মিনিটে আরও একটি গোল করে। নেইমারের অ্যাসিস্ট থেকে গোলটি করেন গুইলেরমি আগুস্তো। তবে ৮৫ মিনিটে নেইমারকে বদলি হিসেবে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত, ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সান্তোস।
এই গোলের মাধ্যমে দীর্ঘ ৫০২ দিনের গোলখরা কাটল নেইমারের। এর মাঝে এক বছরেরও বেশি সময় চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। সেই চোট থেকেই ফিরে সৌদি ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে যোগ দেন। আর এবার সান্তোসের হয়েই অবশেষে গোলের দেখা পেলেন এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।