জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। হয়তো অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দল পারবে না। কিন্তু তোফায়েল আহমেদ ও রাকিবুল হাসান ভেবে রেখেছিলেন অন্য কিছু। ৪ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তারা।
আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০১ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রবিন মিয়ার ৮৭ রানে ভর করে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশের যুবারা।
রাজশাহীতে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ খেলেছে সফরকারীরা। আন্দিলে মোজাকিনে ব্যতিত সবাই করেছেন দুই অঙ্কের ঘরে রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেছেন কনোর ইস্টারহুজেন। এছাড়াও ফিফটির দেখা পেয়েছেন আন্দিলে সিমিলেন। ৬১ রানের ইনিংস খেলেছেন প্রোটিয়া এ ব্যাটার। শেষের দিকে ঝড় তুলেছিলেন তিনি।
এছাড়াও ১৫ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলেছেন টিয়ান ফন ভুরেন।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন রিপন মন্ডল। কিন্তু ১০ ওভারে দিয়েছেন ৮৪ রান। দুটি উইকেট নিয়েছেন আহরার আমিন।
রান তাড়ায় বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন রবিন মিয়া ও জিসান আলম। কিন্তু জিসান শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২৭ বলে ৩১ রান করে ফিরেছেন জিসান। রবিন খেলেছেন ৮৯ বলে ৮৭ রানের ইনিংস।
প্রিতম কুমার (১৭) ও আরিফুল ইসলাম খেলেছেন ৩৬ রানের ইনিংস।
তবে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন আকবর আলী। ২৪ বলে ৪১ রান করেছেন যুবা অধিনায়ক। শেষে ৩ ওভারে ৩৮ রানের সমীকরণ মিলিয়েছেন তোফায়েল ও রাকিবুল। ২০ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন তোফায়েল, রাকিবুল খেলেছেন ১০ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ক্যামিও।