সিরাজগঞ্জের তাড়াশের বৃহত্তম নওগাঁ হাটে কোরবানির পশু বেচা-কেনায় মাত্রা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে। এ ছাড়াও সারা বছর অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হয় গরু-ছাগল ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বেচা-কেনায়। বিশেষ করে কোরবানির পশু কেনা-বেচায় চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয় ক্রেতা ও বিক্রেতাকে।
এদিকে কোরবানির হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগীরা বলেন ‘ আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী নওগাঁ হাটের গরু-ছাগলের ব্যাপারী, স্থানীয় দোকাদান ও এলাকাবাসী। এ হাটে একটি গরুর খাজনা ৪০০ টাকার স্থলে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। একটি ছাগলের খাজনা ৬০ টাকার স্থলে ২৫০ টাকা নেওয়া হয়। খাজনার রশিদে টাকার পরিমাণ লেখা হয় না, পরিশোধ লিখে দেন। দোকানদারদের থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করেন। অসংখ্য গাড়ি থেকেও খাজনা নেওয়া হয়, যা চাঁদাবাজির সামিল।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, লিখিত অভিযোগকারীদের অভিযোগের চেয়েও বেশী খাজনা আদায় করা করা প্রসিদ্ধ নওগাঁ হাটে। পশু বিক্রেতারও টাকা দিতে হয় এ হাটে পশু কিনে। গরু বিক্রেতার ১০০, ছাগল বিক্রেতার ৫০। তবে কোরবানি ও রোজার ঈদের হাটগুলোয় খাজনা আদায়ের চিত্র একেবারেই পাল্টে যায়। অভিযোগ রয়েছে, এক গরুর খাজনা ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এক খাসিতে নেওয়া হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। এ যেন যা ইচ্ছে তা !
অপরদিকে ভুক্তভোগী পশু ক্রেতা-বিক্রেতারা বলেন, কোরবানির ঈদ ও রোজার ঈদের তিন থেকে চার হাট গরু ও মহিষ প্রতি খাজনা আদায় করেন ১ হাজার টাকা। ছাগল ও ভেড়ার খাজনা নেয় ৫০০ টাকা করে। তখন গরু বিক্রেতাদের দিতে হয় ২০০ টাকা, ছাগল বিক্রেতাদের দিতে হয় ১৫০ টাকা।
নওগাঁ হাটের ইজারাদার মো. নিজাম উদ্দীন বলেন, ২ কোটি ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকা দিয়ে হাট ইজারা নেওয়া হয়েছে। আপনারা লেখালেখি করলে হাট ডেকে লাভ করা সম্ভব না।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলামকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, নওগাঁ হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগের বিষয়টি নজরদারিতে রয়েছে। প্রয়োজনে হাটে গিয়ে মনিটরিং করা হবে।#