সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অবৈধ অর্থ নিতে না পেরে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করে দলিল জালিয়াতি করে নামজারী ও তথ্য গোপন করে কয়েকগুণ কর আদায়, খারিজে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জুবায়ের আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে।
এনিয়ে ভুক্তভোগী শামসুজ্জোহা ওই ভূমি কর্মকর্তার শাস্তি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীর তথ্য ও অভিযোগসূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের মাঝিরা মৌজার দখলীয় ১৫৬২ কেসমূলে ১০০৩ হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হয়ে আর এস ৫৭২,৫৭৩ ও ২৭৮ নং দাগে দুই’শ ১৬শতাংশ জমি খাজনা খারিজ করার জন্য কুন্দইল ভূমি অফিসে যান মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে শামসুজ্জোহা।
যথা নিয়মে খাজনা পরিশোধ করে মৃত্যুর পর ওয়ারিশসূত্রে নামজারীর আবেদন করা হয়। প্রথমে ওই প্রাপ্ত সম্পত্তি ভূমি উন্নয়ন কর একশত দুই টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে অনলাইনের মাধ্যমে ৮ হাজার ৩শ ছিয়াত্তর দেখে সে টাকাও পরিশোধ করেন শামসুজ্জোহা।
পূর্বের খারিজ সূত্রে তিন দাগ থেকে আবেদন করে ভূমি অফিসে তহশিলদারের কাছে গিয়ে জানতে পারে ১০০৩ খতিয়ানের ৫৭৩ দাগে ১৫শতাংশ জমি ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসের ৫ তারিখে ৩৯৮৪ নং দলিল মূলে ক্রয় করে ১৫৯৪ খতিয়ানভুক্ত করা হয়েছে।
ডিসিআর ফি জমা দেবার পরেও অফিস থেকে হিসাবভুক্ত না করে কৌশলে মূল জোত থেকে জমির অংশ বাদ দিতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
শামসুজ্জোহার দাবী পিতা আব্দুল হালিম ২০১০ সালে মৃত্যুর পর ২০১৭সালে জসিম উদ্দিন খোন্দকারকে কিভাবে জমি লিখে দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তাড়াশ উপজেলা ভূমি অফিসের পরামর্শে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি জুবায়ের আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে শামসুজ্জোহা।
সগুনা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জুবায়ের আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল হয়েছে। আমরা উভয়ই বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে