রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহে ডিবি পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ, আটক ৪ এ সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন : আলী রীয়াজ চাঁদপুরে লেক থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ৭ সহপাঠী জিজ্ঞাসাবাদে আইনশৃঙ্খলা চ্যালেঞ্জিং হলেও নির্বাচন সম্ভব : বিবিসি বাংলাকে সিইসি আবু সাঈদ হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো: ১২ আসামি ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশে দেড় লাখ মানুষকে আরব আমিরাত রাষ্ট্রদূতের সহায়তা ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠনকে নিষিদ্ধের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যে বিক্ষোভ টেস্ট ক্রিকেটে ১০ বছর পর ঘটলো সেই বিরল ঘটনা টঙ্গীতে চার ছিনতাইকারী আটক, দুইজনকে গণধোলাই যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের

শূন্যরেখার আরও ২৪২ রোহিঙ্গাকে আনা হলো ক্যাম্পে

রিপোর্টারের নাম / ২৯৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ১:২৭ অপরাহ্ন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যছড়ির তুমব্রুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে আনার কাজ সম্পন্ন  হয়েছে। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৮ম দফায় উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজার থেকে বাসে করে ৬৭ পরিবারের ২৪২ রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্টে আনা হয়েছে।

গত এক মাসে আরও সাত দফায় ৪৬৩ পরিবারের দুই হাজার ২৮৫ রোহিঙ্গাকে উখিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছিল। এই এক মাসে সেখান থেকে মোট দুই হাজার ৫২৭ রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে আনা হয়েছে।

রবিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, শূন্যরেখা থেকে তুমব্রুতে আশ্রিত সব রোহিঙ্গাকে উখিয়ায় সরিয়ে আনার কাজ শেষ হয়েছে। সর্বশেষ আজকে ৬৭ পরিবারের ২৪২ রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্টে আনা হয়। সব মিলিয়ে ৫৩০ পরিবারের দুই হাজার ৫২৭ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর সম্পন্ন হয়েছে। তুমব্রুতে আর কোনও রোহিঙ্গা নেই।

আরআরআরসি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গাদের দুটি সশস্ত্র সংগঠনের সংঘর্ষে বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে প্রথম দফায় ১৮০ রোহিঙ্গাকে তুমব্রু থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে আনার পরে টোকেনের মাধ্যমে পরিচয়পত্র দিয়ে বাসে করে উখিয়ার কুতুপালংয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর একই প্রক্রিয়ায় দফায় দফায় ৫৩০ পরিবারের দুই হাজার ৫২৭ রোহিঙ্গাকে হস্তান্তর করা হয়। এরপর কার্যক্রম শেষে তাদের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠানো হবে।

সীমান্ত বসবাসকারীদের মতে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গারা যখন দলে দলে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকছিল, তখন কিছু রোহিঙ্গা আটকা পড়েন মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের মাঝামাঝি ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায়। পাঁচ শতাধিকের বেশি রোহিঙ্গা এতদিন সেখানেই বসবাস করছিল। যেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু গত ১৮ জানুয়ারি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যকার সংঘর্ষে একজন নিহত হন, ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে বসতবাড়ি হারিয়ে তুমব্রু গ্রামে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেন। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি একটি কমিটি ওই রোহিঙ্গাদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে তাদের হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় এক মাসে তুমব্রু থেকে সব রোহিঙ্গাকে হস্তান্তর কাজ শেষ হয়েছে।

তুমব্রু সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহাজান মিয়া বলেন, অবশেষে আমার এলাকা আপাতত রোহিঙ্গামুক্ত হয়েছে। এতে সীমান্তের মানুষ স্বস্তিবোধ করছেন। কারণ, প্রায় ছয় বছর ধরে শূন্যরেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্তের মানুষ অনিরাপদ ছিলেন। পাশাপাশি তাদের অপরাধের কারণে এখানকার লোকজন বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এখন আর গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাবে না। অন্তত শান্তিতে ঘুমানো যাবে।

মো. আনাছ নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সেনাদের অভিযানের মুখে পড়ে বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে প্রাণে বাঁচতে তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখা আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেখানে কোনোমতে কষ্টে পাঁচ বছরের বেশি সময় পার করেছি। কিন্তু শূন্যরেখায় আবার সব হারিয়ে ফের নিঃস্ব হয়ে এখন উখিয়ায় ঠাঁই হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের তুমব্রু থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে আর কোনও রোহিঙ্গা নেই। এখন সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড কমে আসবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir