বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোতালেব সরকার সহ ১১ জনের নামে মুক্তিপণ আদায়সহ বেশ কিছু অভিযোগে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।মোতালেব সরকার সুবর্ণসাড়া গ্রামের মৃত তারা সরকারের ছেলে চরচালা গ্রামের দৌলত মন্ডলের ছেলে নাবিন মন্ডল মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ই মে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।ওই সময় বাদীর ভাই আব্দুল মমিন পার্শ্বে দাঁড়িয়ে থাকায় মোতালেব সরকার গং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন, হুমকি ধামকির এক পর্যায়ে গত ২৯মে রাত ৯ টায় আসামিরা অস্ত্রের মুখে দৌলত মন্ডল এবং তার ছেলে আব্দুল মমিনকে মোতালেব সরকারের নির্জন দোতলা বাড়িতে নিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি এবং মারধর করে, প্রধান আসামি মোতালেব সরকার দৌলত মন্ডল এবং তার ছেলে আব্দুল মোমিন কে কোমরে এবং বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে, পরে তারা বাসায় যোগাযোগ করে মুক্তিপণের ১ লক্ষ টাকা দিয়ে মোতালেব সরকারের পা ধরে মাফ চায়। তখন তাদের মধ্যে থেকে কেউ পা ধরে মাফ চাওয়ার ভিডিও ধারন করে ।
মুক্তিপণ পাওয়ার পর দৌলত মন্ডল এবং তার ছেলে আব্দুল মমিন কে ছেড়ে দেওয়ার সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি এবং হুমকি দিয়ে বলেন এই ঘটনা কাউকে বললে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হবে । জিম্মি অবস্থা থেকে আসার পর ঘটনাটি সাবেক মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, বর্তমান মেয়রকে জানালে মোতালেব সরকারের ভাই আবু তালেবের ফেসবুক আইডি সহ বেশ কিছু আইডি থেকে ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেয়।
এছাড়াও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় এই মোতালেব সরকারসহ তার সহযোগীরা বেলকুচি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শিপন আহমেদ, প্যানেল মেয়র তারেক সরকার, বেড়াখারুয়া গ্রামের মাহিদুল ইসলাম সহ বেশ কয়েক জনের উপর প্রকাশ্যে দিবালোকে দেশিও অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ বিষয়ে মামলার বাদী নাবিন মন্ডল বলেন, প্রধান আসামি মোতালেব সরকার একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী, মোতালেব সরকার গং সবাই এমপির সমর্থক হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই সন্ত্রাসীদের কঠিন বিচার চাই।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাশার মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। খুব শীঘ্রই মামলা তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।