বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

নিয়োগে অনিয়ম: পদ হারালেন বিমানের প্রশিক্ষণ প্রধান ক্যাপ্টেন সাজিদ

রিপোর্টারের নাম / ৩৫৩ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩, ২:৫৮ অপরাহ্ন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধানের পদ থেকে ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদকে অপসারণ করা হয়েছে। এখন থেকে তিনি বোয়িং-৭৭৭-এর লাইন পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বৃহস্পতিবার বিমানের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে, ক্যাপ্টেন সাজিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্ত্রী সাদিয়া আহমেদসহ অন্যদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়া, ককপিট ক্রুদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও বৈষম্যসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিমান কর্তৃপক্ষ আজ আজ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে, বৈমানিক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট অপারেশনস পরিচালক ক্যাপ্টেন সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে গত সোমবার এ কমিটি গঠন করা হয়। অপর দুই সদস্য ফ্লাইট সেফটি বিভাগের প্রধান ক্যাপ্টেন ইনাম তালুকদার ও ডেপুটি চিফ অব ট্রেনিং তাপস আহমেদ। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। এরপর ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এলো।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তড়িঘড়ি করে ১৪ জনকে বৈমানিক হিসেবে নিয়োগ দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গত এক বছরে এসব বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ ও বেতন মিলিয়ে বিমানের খরচ হয় কয়েক কোটি টাকা। একাধিক বৈমানিকের জাল সনদ জমা, লাইসেন্সিং পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। যাতে ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ ওঠে।

নিয়োগপ্রাপ্ত পাইলটদের মধ্যে সাদিয়া ইসলাম বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী। অভিযোগ আছে, সাজিদের চেষ্টা-তদবিরেই নিয়োগ পান তাঁর স্ত্রী। সাম্প্রতিক এক তদন্তে জানা যায়, সাদিয়া ইসলাম নিয়োগের সময় জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়েছেন। ওই জাল সনদ অনুযায়ী তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন বিজ্ঞান শাখা থেকে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তিনি শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছেন।

শুধু তাই নয়, বৈমানিক মেহেদী আল ইসলামের জমা দেওয়া এয়ারলাইনস ট্রান্সপোর্ট পাইলট লাইসেন্স (এটিপিএল) জাল ছিল।

এরই মধ্যে ফার্স্ট অফিসার আল মেহেদী ইসলামের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। মেহেদী এটিপিএল লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪টি পরীক্ষার মধ্যে ১১টিতেই অংশ নেননি। যে ৩টিতে অংশ নিয়েছিলেন তার মধ্যে দুটিতে উত্তীর্ণ হতে পারেননি।

জাল সনদ প্রসঙ্গে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজীম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেউ যদি তথ্য গোপন করে এবং সেটি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনিয়ম করে পার পেয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir