সিলেটের সড়কে ছয়দিন পর ফিরেছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে সিলেটের বিভিন্ন সড়কে দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তবে এখনো সড়কে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পুলিশকে সহযোগিতা করছেন স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকে নগরের জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, নাইওরপুল ও সোবহানীঘাট পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন। বৃষ্টির মধ্যে তারা সড়কে দাঁড়িয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ থেকে স্কাউট ও বিএনসিসি সদস্যদের ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের ইতোমধ্যে সরিয়ে নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
এদিকে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে তিনি নাইওরপুল, সোবহানীঘাট ও জিন্দাবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ এবং স্কাউট ও বিএনসিসি সদস্যদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ পরিদর্শন করেন।
রোববার (১১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শোয়াইব হাসান সোমবার থেকে কাজে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের আশ্বাসে কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন বলে জানান তারা।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর বেশকিছু দাবিতে ৬ আগস্ট থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন। ফলে সিলেটসহ সারাদেশের সড়কে ট্রাফিক পুলিশদের দেখা যায়নি। সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজে নামেন শিক্ষার্থীরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সিলেটে সোমবার থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
রোববার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৫৯৯টির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।