রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন

কারফিউর পর মণিপুরে পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক: / ১৭২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন

নানামুখী বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের মণিপুর রাজ্য। সংঘাত শুরু হয়েছিল গত বছরের মে মাসে। সেই সংঘাত বর্তমানে তীব্রতর পর্যায়ে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্দুকযুদ্ধ, ড্রোন ও রকেট হামলার ঘটনাও ঘটেছে থেমে থেমে। এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মণিপুর রাজ্যের তিনটি জেলায় কারফিউ ঘোষণার পর গোটা রাজ্যজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবর্তনের’ কারণে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিম এবং থৌবাল জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের বাসা থেকে বেশি দূরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মণিপুর রাজ্যের আঞ্চলিক এখতিয়ারে লিজ লাইন, ভিস্যাট (VSAT), ব্রডব্যান্ড এবং ভিপিএন পরিষেবাসহ ইন্টারনেট এবং মোবাইল ডাটার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা/স্থগিতাদেশ দেওয়া হলো। এই আদেশ স্থানীয় সময় ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সরকার বলছে, দেশবিরোধী ও অসামাজিক কার্যক্রমের নকশা ও তৎপরতাকে নস্যাৎ করতে এবং শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং সরকারি/বেসরকারি সম্পত্তির কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদির মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভুল তথ্য এবং মিথ্যা গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে জনস্বার্থে ইন্টারনেট বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত সপ্তাহে ফের শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। বিদ্রোহীরা রাজ্যের কিছু অংশ অবরোধ করে রেখেছে। তারা গত সপ্তাহের ড্রোন হামলার জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছেন।

প্রায় এক বছর আগেও সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর থেকে মনে করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে রাজ্যে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার।

গতকাল সোমবার মণিপুরে পৃথক ঘটনায় কুকি-জো সম্প্রদায়ের নেজাহোই লুংডিম নামের একজন নারী ও লিমখোলাল মেট নামের একজন সাবেক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। লিমখোলাল ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসাম রেজিমেন্টের হাবিলদার ছিলেন। দুজনেই দক্ষিণ মণিপুরের কাংপোকপি জেলার বাসিন্দা।

১ সেপ্টেম্বর থেকে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। নেজাহোই লুংডিম ও লিমখোলাল মেটে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার ইম্ফলে বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মণিপুর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অপসারণ এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে থাউবাল ও ইম্ফলসহ বিভিন্ন অংশে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। এর জেরে গোটা রাজ্যে ব্যাপক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir