নাটোরের বড়াইগ্রামে বিগত সরকারের আমলে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা থাকাসহ নির্যাতিত বিএনপি পরিবারের সদস্য ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নামে হীন উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ পরিচয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। মূলত কমিটিতে পদ না পেয়েই একটি চক্র এ অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে দাবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের। রোববার সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন জোনাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক বাবুল হোসেন। এ সময় যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান সরকার, সদস্য আব্দুল্লাহ ও সাগর মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য সুত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন জোনাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। পরদিন জোনাইল বাজারে আনন্দ মিছিল শেষে পথ সভায় সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন ছাত্রলীগকে হুঁশিয়ারী দিতে গিয়ে ভুল:বশত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বলে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার হওয়ায় উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান সরকারসহ পাঁচজনের পদ স্থগিত করে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবি প্রকাশিত হয়। সেগুলোর কোনটা জন্মদিনের পারিবারিক অনুষ্ঠানের আর একটি মিছিলের। সেদিন ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্রদলের সদস্য আব্দুল্লাহকে বাজারে পেয়ে নাশকতার মামলায় পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক মিছিলে নিয়ে যায়। পুলিশী হয়রানী থেকে বাঁচতে সে মিছিলে যেতে বাধ্য হয়। তবে তার ছাত্রলীগের কোন পদ পদবী নাই। এছাড়া সদস্য সচিবসহ অন্য কেউ কখনই ছাত্রলীগের কোন কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রমাণ নেই। ছাত্রদলের নতুন কমিটির সদস্যরা সবাই নির্যাতিত বিএনপি পরিবারের সদস্য। তাদের নামে এখনও আওয়ামীলীগ আমলে দেয়া নাশকতাসহ একাধিক মিথ্যা মামলা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান।
সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন বলেন, আমার বাবা আফসার আলী জোনাইল ইউয়িনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং দাদা আবেদ আলী সরকার ১০ বছর জোনাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান সরকার বলেন, বিগত সরকার ছাত্রদল করার কারণে আমার নামে নাশকতাসহ ৬টি এবং আমার পিতা লোকমান হোসেনের নামে ৪টি মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দিয়েছে। সদস্য আব্দুল্লাহ সরকার বলেন, আমার নামে নাশকতা ও বিস্ফোরণ আইনে ৩টি মামলা দিয়েছে। সাগর মন্ডল বলেন, আমার পরিবার বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের পেটোয়া বাহিনী দ্বারা একাধিকবার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহিদ হাসান বিপুল বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।