রাজশাহীতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিংয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৩৪ রানের জয়ে ২-১ এ সিরিজ জিতে নিলো বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল। যেখানে শুরুটা দুর্দান্তই করে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই শূন্য রানে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশের ওপেনার রিজওয়ানকে। এরপর ব্যক্তিগত ২৬ রানে মফিজুল ইসলাম রবিন ও ব্যক্তিগত ১৯ রানে আউট হয়ে যান রায়হান রাফসানও।
এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আকবর আলী। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি আরিফুল ইসলাম (১১) কিংবা প্রীতম কুমারও (৩)। দলীয় ৯৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ এরপর হারায় ৩৮ করা অধিনায়ক আকবরকেও। একটা সময় যখন মনেই হয়েছিল খুব দ্রুতই অলআউট হচ্ছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
ঠিক তখনই দলের কান্ডারি হয়ে আবির্ভূত হোন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ৭৭ বলে ৫৮ রান করে দলকে ২০০ পার হতে সাহায্য করেন। আর শেষ দিকে ৪০ বলে ৪টি চার ও ২ ছয়ে ৪২ করে দলকে সম্মানজনক স্কোর দাঁড় করাতে সাহায্য করে রাকিবুল। যদিও ৪৫.৫ ওভারে ২২৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন টেসপো।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদেরও। দলীয় ১০ রানে ওপেনার মিকাইল প্রিন্স আউট হওয়ার পর প্যাভিলিয়নে দ্রুত ফিরে যান তিনে নামা রিচার্ডও। এরপর আরেক ওপেনার জর্জ ভ্যান ও আন্দিলে মিলে দলের রানের চাকা সচল রাখলেও এই দুজনকেই ফিরিয়ে বাংলাদেশকে আবারও জয়ের সুবাস পাইয়ে দেন রাকিবুল হাসান।
শেষ দিকে টিয়ান ভ্যান ভুরেন এর ৪০ ও মোকেয়নার ৩৬ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের কাছে গিয়েও বাংলাদেশের বোলারদের তোপে অলআউট হয়ে যায় ১৯১ রানেই। ফলে ৩৪ রানের জয়ে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠার পর বল হাতেও একাই প্রোটিয়াদের ৪ উইকেট তুলে নেন রাকিবুল হাসান।