সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লোডশেডিংয়ের সময় কাঠগড়া থেকে পালালেন আসামি কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল ট্রাক ১৮৭৪ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য মিলেছে : এনবিআর নাটোরের লালপুরে বগি রেখে চলে গেল ট্রেনের ইঞ্জিন বাগাতিপাড়ায় সড়ক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, দুদকের অভিযান বিদেশে উচ্চশিক্ষার লোভ দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়েছেন বিএসবির বাশার বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার প্রায় ৭৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা রাস্তায় মালামাল রেখে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি, চারজনকে জরিমানা ডেমরা পুলিশ লাইনস স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন ডিএমপি কমিশনার সিরাজগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে মারপিটসহ মোবাইল ও টাকা লুট

অনিয়ম ও দুর্নীতির আতুরঘর চারঘাট ভূমি অফিস

চারঘাট প্রতিনিধি (রাজশাহী) : / ২৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫, ৩:২৮ অপরাহ্ন

রাজশাহীর চারঘাট ভূমি অফিস অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পদে পদে ঘুষ ও দুর্নীতির কারনে ভুমি অফিসে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। দালাল ছাড়া এখানে কাজ হয় না এবং টাকা বিনিময় ছাড়া একটি ফাইলও নড়ে না। এতে করে প্রতিনিয়ত হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন ভূমি সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহনকারীরা।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বাংলাদেশ গেজেট ভিপি ’ক’ তালিকাভুক্ত সম্পত্তি চারঘাট ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকতাদের যোগসাজেশে গোপনে ২০১২ সালে প্রকাশিত ’ক’ তালিকাভুক্ত ভেষ্টেড প্রপার্টি (ভিপি) ০.০৫শতাংশ জমি ২০২২ সালে হোল্ডিং অনুমোদন দিয়ে খাজনার কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়। জানা যায়, জমিটি ৪২নং চারঘাট মৌজার আর এস ৩৬৬ নং দাগের অর্ন্তভুক্ত। গেজেটটির ৮৩৭৩ নং পাতার ৩৯ নং ক্রমিকে এস এ ৫৬৯, আর এস ৫৩৬ নং দাগের ০৫ শতক জমি উল্লেখ করা হয়। গেজেটটি প্রকাশিত হওয়ার পর পূর্বের তহশীল উক্ত পাতায় লাল কালির লেখা ফু¬ইড দিয়ে মুছে দিয়ে অনলাইনে হোল্ডিং অনুমোদন দিয়ে দাখিলা সরবরাহ করেন। যার দাখিলা নং ৮১২৫২৪০৩৫৪১৯। দাখিলাটি পেয়ে মুনজুর পিং আশরাফ সাং চারঘাট জমিটি নিজ নামীয় বলে জেলা প্রশাসক, রাজশাহীর অধিনে অধিগ্রহন শাখা হতে ১১,২১,৯৬৫/- টাকা উত্তোলন করেন। চেক নং ০৮৩২৯২৮, টাকা গ্রহনের তারিখ ২০/০৪/২০২৫। যার এল,কেস নং ০৯/২০২১-২০২২। তবে মুনজুর রহমানের মুঠোফনে প্রতিবেদককে জানান, অধিগ্রহনের টাকার জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করেছি তবে এখন পর্যন্ত টাকা পায় নাই।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সকল ইউনিয়ন ভুমি অফিসগুলোতে যোগ সাজেশে একাধিক দালাল সক্রিয় রয়েছে। এরা নানভাবে নিয়ন্ত্রন করছেন ভুমি সংক্রান্ত কাজকর্ম। এসব দালাল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, এসব দালাল চক্র ভুমি অফিসে সরকারী কর্মচারীদের মতো ফাইল পত্র নাড়াচাড়া করে। বোঝার উপায় নাই এরা সকলে অফিসের বাইরের লোক। অভিযোগ রয়েছে এসব দালাল চক্র ভুল ও মিথ্যা তথ্য সংযোজন করে পুনরায় তা ঠিক করে দেয়ার নামে ভুমি মালিকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। নামজারী, মিসকেস, প্রস্তাবিত খতিয়ান ও খাজনায় অতিরিক্ত টাকা ছাড়া আবেদন গ্রহন করে না ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা।
চারঘাট ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আনন্দ কুমার জানান গত ২০২২ সাল থেকে ’ক’ তালিকাভুক্ত ভেষ্টেড প্রপার্টি (ভিপি) জমিটির অনলাইন চালু রয়েছে। ফ্লুইড ব্যবহারের বিষয়টি সঠিক নয় তবে গত ১৫ই মে, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরিফ হোসেন এর নির্দেশনায় অনলাইনে হোল্ডিং বাতিল করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, এবিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir