সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় পাওনাদার সাইফুল ইসলাম সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে চাঁন মিয়া মন্ডল নামে এক ব্যবসায়ীকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে আটকে রেখে মারপিট করেছে। এমনকি তার কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চাঁনমিয়া সোমবার সদর থানায় লিখিত অভিযাগ দায়ের করেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী চাঁনমিয়া কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, চাঁনমিয়া আরএফএলের প্লাষ্টিক ফার্নিচারের ডিলার ও স্থানীয় টিন ব্যবসায়ী। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলামের একডালা বাজারের প্লাষ্টিকের দোকানদার। চাঁনমিয়ার কাছ থেকে মালামাল ক্রয় করার সুবাদে সাইফুলের সাথে তার সুসম্পর্ক হয়। সুসম্পর্কের কারনে সাইফুল ইসলাম ব্যবসায়ী চাঁনমিয়ার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হাওলাত নেয়। গত শুক্রবার সাইফুলের একডালা বাজারের দোকানে গিয়ে পাওনা টাকা চায় ব্যবসায়ী চাঁনমিয়া। এ সময় সাইফুল ইসলামের সাথে একটু কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাইফুল ইসলাম এবং তার সাথে থাকা একডালা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, চাঁনমিয়া, লাভলু, শাহীন আব্দুল খালেক ও জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন মিলে চাঁনমিয়াকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে মারপিট করে আটকে রাখে। এ সময় সাইফুল ইসলাম ব্যবসায়ী চানমিয়ার কাছ থেকে একটি ১৬ হাজার ৫শ টাকার মুল্যের মোবাইল ফোন ও নগদ ১৬ হাজার ৫শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। সংবাদ পেয়ে চাঁনমিয়ার স্বজনরা তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হলে সদর থানায় ফোন দিলে পুলিশ রাত ১২টায় চাঁনমিয়াকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী চাঁনমিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার পাওনা টাকা চাওয়ায় আমাকেই আটকে রেখে চাঁদাবাজ বানিয়ে মারধর করে আমার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আবার শুনছি আমার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হচ্ছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তসাপেক্ষে সাইফুল ও তার সহযোগীদের বিচার কামনা করছি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের পর সে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।