অনলাইন ডেস্ক:
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্রে টিকতে না পেরে জেলেরা গত দুইদিন আগেই ট্রলার নিয়ে মৎস্য বন্দর মহিপুর ও আলীপুর অড়ৎ ঘটে নোঙর করেছে। এছাড়াও আনেক জেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন নদ নদীতে আশ্রয় নিয়েছে। এর ফলে মৎস্য বন্দরে ইলিশের সরবরাহ কমে গেছে। বেড়েছে দাম। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬শ’ টাকায়। আর ৮ শ’ গ্রামের ইলিশ ১২শ’ টাকা, ৬শ’ গ্রামের ইলিশ ৮ শ’ টাকা এবং জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ টাকা কেজি দরে।
চড়া দামে ইলিশ বিক্রি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেলেদের জালে ধরা পড়তে পারে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ এমনটাই জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
স্থানীয় জেলেরা জানান, বর্তমানে সাগর উত্তাল। এ কারণে মাছ ধরা বন্ধ। তাই ট্রলার নিয়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে কিছু ফিশিংবোট ঝুঁকি নিয়ে এখনো সাগরে মাছ ধরছে।
মৎস্য আড়ৎ মলিক সূত্রে জানা গেছে, সাগর উত্তাল থাকায় অধিকাংশ জেলেরা ট্রলার নিয়ে তীরে এসেছে। তাই বর্তমানে মৎস্য বন্দরে ইলিশের সরবরাহ কমে গেছে। আর অগভীরে যে মাছ জেলেরা পাচ্ছে তাও আবার বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
তীরে ফিরে আসার জেলে চাঁন মিয়া মাঝি বলেন, সাগর খুবই উত্তাল, ট্রলারে থাকাটাই দায়। আমরা অবস্থা বেগতিক দেখে আগেভাগেই তীরে ফিরে এসেছি।
আপর এক জেলে আমির মাঝি জানান, সাগরে ঢেউয়ের তাণ্ডবে টিকতে না পেরে আমাদের মত আনেক জেলে দ্রুত জাল টেনে কিনারের দিকে ফিরে আসেন। আবহাওয়া আনুকূলে আসলে তারা আবারও মাছ শিকারে সমুদ্রে যাত্রা করবে বলে তিনি জানান।
আলীপুর মৎস্য আরৎ মালিক সমিতির সভাপতি মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, সাগর বর্তমানে উত্তাল থাকায় জেলেরা ট্রলার নিয়ে মহিপুর আলীপুর আড়ৎ ঘাটসহ বিভিন্ন নদীতে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। আবহাওয়া ভাল হলেই এসব জেলেরা ট্রলার নিয়ে ফের সমুদ্রে যাত্রা করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।