রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন

চবি দর্শন বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উৎসব উদযাপন

রিপোর্টারের নাম / ৩৬৭ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩, ৭:০৮ অপরাহ্ন


আমিনুল ইসলাম, চবি প্রতিনিধিঃ
অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উৎসব দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ২৭ অক্টোবর ২০২৩ চবি ক্যাম্পাসে উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বেলা ১২:০০ টায় চবি জারুলতলায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। চবি দর্শন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল মান্নান এর সভাপতিত্বে উক্ত বিভাগের সাবেক সভাপতিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর মোঃ আফছার আলী, প্রফেসর মনসুর উদ্দিন আহমদ, প্রফেসর ড. মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী, প্রফেসর ড. এম শফিকুল আলম, প্রফেসর ড. এন এইচ এম আবু বকর, প্রফেসর ড. নূসরত জাহান কাজল ও প্রফেসর ড. ইকবাল শাহীন খান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মাছুম আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মিজানুর রহমান ও জনাব জওশন আরা জলি।

মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণে চবি দর্শন বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে উপস্থিত সম্মানিত শিক্ষক, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, তাঁদের পরিবারবর্গ ও অতিথিদের বিশ্ববিদ্যালয় সবুজ ক্যাম্পাসে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘‘চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অন্তর্গত চবি দর্শন বিভাগ অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি বিভাগ। চবি’র প্রাচীনতম এ বিভাগটি গৌরবের সাথে ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অনেক মেধাবী, গুণী ও পণ্ডিত শিক্ষক-গবেষকের নিরন্তরভাবে শিক্ষাদানের ফলে এ বিভাগ থেকে বহু শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে উঁচু আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ভূমিকা রেখে চলেছেন’’। এটি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। মাননীয় উপাচার্য বলেন, ‘এ বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বসূরীদের ন্যায় জ্ঞান-গবেষণায় সমৃদ্ধ হয়ে এ বিভাগ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে’। তিনি আরও বলেন, ‘দর্শন বিভাগের ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে যে মিলনমেলার সৃষ্টি হয়েছে তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’। নবীন-প্রবীণের মিলনমেলার বন্ধন ভবিষ্যতেও অব্যাহত রেখে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাঁদের কর্মজীবনের পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবেন মর্মে মাননীয় উপাচার্য প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। মাননীয় উপাচার্য বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে চবি দর্শন বিভাগের প্রাক্তন সভাপতিদেরকে বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে দিনব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে ছিল-চবি ‘স্মরণ’ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য সুবর্ণজয়ন্তী শোভাযাত্রা, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের আলোচনা পর্ব, প্রতিটি ব্যাচের ফটোসেশন, বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের যৌথ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, আমন্ত্রিত শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং স্বনামধন্য ব্যান্ড দল “মিনার রহমান এবং শিরোনামহীন’ এর পরিবেশনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir