বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের বক্তব্যকে ‘হাটে হাঁড়ি ভাঙা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র। শেষ পর্যন্ত প্রভাবশালী মন্ত্রী হাটে হাঁড়ি ভেঙে স্বীকার করলেন, দেশের আইন-আদালত, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, কোর্ট-কাচারি, বিচার-আচার সবকিছু সরকারের হাতে বন্দি! সবই চলছে সরকার প্রধানের ইশারায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো স্যাটেলাইট স্টেট নয়। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা করে পুলিশি তাণ্ডব-হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে চলমান যত সহিংসতা, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, হুলিয়াসহ হত্যাকাণ্ডের যত ঘটনা ঘটেছে তার সব কিছুই সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, তল্লাশি, ভাঙচুর, আটক বাণিজ্য সবকিছু ক্ষমতাসীনদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে। একথা আজ শুধু বিএনপির নয়। সরকারের কৃষিমন্ত্রী নিজেও এই স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, দেশে সহিংসতা বন্ধে পরিকল্পিতভাবেই বিএনপি নেতাকর্মীদের জেলে আটক রাখা হয়েছে।
সোমবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কোনো দেশের প্রোটেক্টরেট নয়। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বর্তমানে দেশের মানুষ গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা বঞ্চিত। চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে জনগণকে রাষ্ট্রের মালিকানা ফেরত দেওয়া হবে।