পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাস্থ্য সহকারী সহ একই পরিবারের পাঁচজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার রেখাখালি গ্রামের প্রথমে কালি মন্দিরের সামনে ও পরে নিজ বাড়ি হাওলাদার বাড়িতে দু’ দফা এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মৃতুঞ্জয় মিস্ত্রি ও তার ভাতিজা অসিম মিস্ত্রি (অজিৎ) লোকজন নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ধিরেন্দ্রনাথ হালদার (৭১) মারধর করে। এসময় তাকে রক্ষা করতে এসে স্বাস্থ্য সহকারী মনি লাল (৩৪), স্বাস্থ্য সহকারীর স্ত্রী তিথি মিস্ত্রি (২২), মাতা কানন বালা (৫৫) ও চাচি লিলিমা (৭০) হামলার শিকার হন।
ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে ইন্দুরকানী হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। বিষয়টি ইন্দুরকানী থানায় অবগত করে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
গুরুতর আহত স্বাস্থ্য সহকারী মনি লাল বলেন, ‘মৃতুঞ্জা মিস্ত্রির ছেলে পুলিশের এসআই হওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন করে আসছে। আজ সকালে মন্দিরে প্রসাদ খেতে গেলে আমার বাবার ওপর তারা হামলা করে। পরে আমি খবর পেয়ে বাবাকে উদ্ধার করতে গেলে আমার উপরেও হামলা করে। এই মারধর ঠেকাতে আসলে আমার স্ত্রী, মা ও চাচিকেও ওরা মারধর করে। অন্যায়ভাবে জমি দখল করবে। কেউ তাদের বাঁধা দিতে পারবে না। বাঁধা দিলে এরকমের মারধরের শিকার হবে। আমাদের জমি দখল করতে চায়। তারা কোনো শালিসি মানে না। এর পূর্বেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ৩-৪ টা ঘটনা ঘটায়। এতে ওই অভিযুক্তদের নামে কয়েকটি মামলা রয়েছে থানায়।’
মুক্তিযোদ্ধা ধিরেন্দ্রনাথ হালদারের জানান, ‘দ্রুত এই অপরাধীদের গ্রেফতার করে সঠিক বিচার করা হোক। আমাদের মতো আর কেউ যেন এভাবে নির্যাতনের শিকার না হয়।
স্বাস্থ্য সহকারীর স্ত্রী তিথি মিস্ত্রি জানান, ‘শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও মারধরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা।’
অভিযুক্ত অসিম মিস্ত্রিকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন এ বিষয় সরাসরি কথা বলবো।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মারুফ হোসেন জানান, আহতরা থানায় এসেছিল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।