ছেড়া টাকা দিয়ে সিগারেট কিনতে যেয়ে তর্ক হওয়ায় দলবল নিয়ে যুবদল কর্মির নেতৃত্বে এক দোকানদারকে মারধর ও দোকান ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১১নভেম্বর) দুপুরে ইন্দুরকানি উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দোকানদার বেল্লাল সহ দুই যুবদল কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের ফারুক হাওলাদার নামে এক যুবদল কর্মী বালিপাড়া হাই স্কুলের সামনে বেল্লাল মোল্লার দোকানে দশ টাকা দিয়ে একটি সিগারেট নেয়। ফারুকের দেয়া ১০ টাকার নোটটি অচল মনে করে দোকানদার তাকে পাল্টে দিতে বলেন। তখন তিনি বলেন টাকা নাই খাতায় লিখে রাখ। এ নিয়ে দূজণের মধ্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে ফারুক তার দলীয় লোকজন নিয়ে দোকানদার বিল্লালের উপর হামলা চালায়। এ সময় তার দোকানে ভাংচুর চালানো হয়। এ সময় পার্শ্ববর্তী দোকানদার যুবদল কর্মী সুমন হাওলাদার মারধর ঢেকাতে এসে নিজে আহত হন। পরে স্থানীয় অন্যান্য দোকানদাররা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এরপর সবাই চলে গেলে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার নির্দেশে বিকেলে একই স্থানে থাকা যুবদলের একটি দলীয় কার্যালয় প্রকাশ্যে ভাঙচুর করে নিজ দলের নেতা কর্মীরা। পরে এই ঘটনায় আওয়ামী লীগকে দায়ি করে বালিপাড়া বাজারে বিএনপির নেতাকর্মিরা মিছিল বের করে। খবর পেয়ে বিকেলে ইন্দুরকানি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় রাতে স্থানীয় বিএনপি’র পক্ষ থেকে উল্টো আ.লীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান আ.লীগের নেতা কর্মিরা।
দোকানদার বেল্লাল জানান, একটি অচল নোট পাল্টে দেওয়ার কথা বলায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে বিনা দোষে মারধর করা হয়েছে এবং আমার দোকানে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
চন্ডিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শাফায়েত জানান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগের লোকজন আমাদের একটি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও যুবদলের দুই কর্মিকে মারধর করেছে।
ইন্দুরকানি থানার ওসি মারুফ হোসেন জানান, মারামারি এবং একটি দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ।