রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

বিমান ছিনতাইয়ে গিয়ে নিহত স্বামী, দীর্ঘদিন পর মুখ খুললেন সিমলা

অনলাইন ডেস্ক / ৮৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৪০ অপরাহ্ন

ঘটনাটি ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ উড্ডয়নের পর ছিনতাই করতে গিয়ে নিহত হন চিত্রনায়িকা সিমলার স্বামী পলাশ আহমেদ। সেদিন বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ উড্ডয়নের পর পলাশ বোমাসদৃশ বস্তু ও অস্ত্র দেখিয়ে বিমানটি ‘ছিনতাইয়ের’ চেষ্টা করেন। এসময় কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পলাশ।

এরপর পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ সিমলার সঙ্গে পলাশের বিয়ে হয়। পলাশ আগের বিয়ের খবর গোপন করায় ওই বছরের ৬ নভেম্বর সিমলা তাকে ডিভোর্স দেন। ডিভোর্সের পরেই ‘হতাশা’ থেকে বিমান ‘ছিনতাইয়ের’ চেষ্টা করেন পলাশ। এ ঘটনায় অভিনেত্রী সিমলাকে কয়েকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যেখানে অভিনেত্রী জানান, বিয়ের পর মনে হয়েছিল পলাশের মানসিক সমস্যা আছে। তাই ডিভোর্স দিয়েছিলেন। তবে কেন বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করতে গেছেন, সেটা বলতে পারছি না।

বিমান ছিনতাইয়ের সেই ঘটনা টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছিল সে সময়ে। উড়োজাহাজ ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাইচেষ্টা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন তদন্ত শেষে আদালতে জমা দেয় পুলিশ। তদন্তে মোট ৭৯ জনের সাক্ষ্য ও বিভিন্ন আলামত পরীক্ষার পর জানা গেছে, সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা শামসুন নাহার সিমলা ডিভোর্স দেয়ার পরই হতাশা থেকে বিমান ‘ছিনতাইয়ের’ নাটক করেন পলাশ। এরপর সময় গড়িয়েছে, সিমলাও তার ব্যক্তিগত জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা নিয়ে আবারও কথা বলতে দেখা গেল ‘ম্যাডাম ফুলি’ খ্যাত এই অভিনেত্রীকে।

যেখানে সেই ঘটনা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপই শোনা যায় সিমলার কণ্ঠে। অভিনেত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে ভালোবাসার জন্য এই ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না বলতে পারি না- তবে আমি বিষয়টি নিয়ে গর্ব করছি না। কারণ এটা আমার জন্য কষ্টের। আমি চাই না কখনো আমার জন্য কেউ এসব করুক। বেঁচে থাকতে আর কখনো এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে চাই না। আমাকে ভালোবাসলে একটা ফুলই যথেষ্ট।’

বয়স চল্লিশের গণ্ডি পেরুলেও এখনও সিনেমায় ফিরতে চান সিমলা। জানালেন, ‘যেকোনো চরিত্র পেলেই অভিনয় করবেন। সেটা নায়িকা হোক কিংবা পার্শ্বচরিত্র, আপত্তি নেই।’ উল্লেখ্য, সামসুন নাহার সিমলা ১৯৯৯ সালে ‘ম্যাডাম ফুলি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান। প্রথম সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পান তিনি। হয়ে ওঠেন ‘ম্যাডাম ফুলি’ নামেই পরিচিত। এই সিনেমাটির মাধ্যমেই অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir