৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আর দেশে ফিরতে পারেননি সাকিব আল হাসান। দেশের মাটিতে খেলে অবসর নিতে চেয়েও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি এই অলরাউন্ডারের। খেলতে পারে নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরই মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সাকিবের অবৈধ বোলিং নিষেধাজ্ঞা।
তাই সহসাই তার দেশের হয়ে খেলতে পারার সুযোগটা কম দেখছেন বিভিন্ন ধরনের ক্রিড়া বিশ্লেষকরা। তবে দেশের নাগরিক হিসেবে একদিন দেশে ফিরবেন বলে মন্তব্য করছেন তিনি।
সাকিবের অনুপস্থিতি কি দেশের বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আকর্ষণ কমিয়ে দিয়েছে? এমন প্রশ্নে দেশের সবচেয়ে ক্রিড়া সাংবাদিক বিভিন্ন ধরনের সাবেক ক্রিকেটারা বলেন প্রতিভাবান এবং আইকনিক খেলোয়াড় সাকিবের অনুপস্থিতি টুর্নামেন্টে প্রভাব ফেলেছে, ‘সে (সাকিব) বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার।
কিছুদিন আগে শেষ হওয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘরোয়া আসর বিপিএলে চট্টগ্রাম দলের হয়ে খেলার কথা থাকলেও বিসিবির নিরাপত্তা ও মামলা থাকার কারনে মিস করছেন এই টুনামেন্টটি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দলবদল করে ফের এসেছেন আলোচনায়। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও জাঁকজমকপূর্ণ টুর্নামেন্টে তার থাকাটা রোমাঞ্চের বিষয়। সাকিবের উপস্থিতি ডিপিএলের শোভা বাড়াবে নিশ্চিত। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা আর আইনি জটিলতার মধ্যে তিনি আদৌ খেলতে পারবেন কি সময় বলে দিবে?
দেশের হয়ে সাকিব সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০২৩ বিশ্বকাপে এবং ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর থেকে বাংলাদেশের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলেননি। এখন সময় বলে দিবে আর দেশের হয়ে খেলার সুযোগ টা পাবে কিনা।