বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের ইতি টানলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দীর্ঘ ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন পোস্টে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
যদিও এর আগেই তিনি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তবে এবার ওয়ানডে থেকেও অবসরের ঘোষণা দিয়ে সমাপ্তি টানলেন এক বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের।
২০০৭ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ৫০ টেস্ট, ২৩৯ ওয়ানডে ও ১৪১ টি-টোয়েন্টি। ওয়ানডেতে ৫৬৮৯ রান ও টেস্টে ২৯১৪ রান করা এই ব্যাটার স্মরণীয় করে রেখেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপের দুটি সেঞ্চুরি দিয়ে। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে তার নাম লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়।
শুধু ব্যাটিং নয়, বল হাতেও কার্যকর ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্টে ৪৩, ওয়ানডেতে ৮২ ও টি-টোয়েন্টিতে ৪১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। দলে তার ভূমিকা ছিল ‘ফিনিশার’ হিসেবে, যেটি তিনি বহুবার নিখুঁতভাবে পালন করেছেন।
অবসরের ঘোষণায় মাহমুদউল্লাহ জানান, ‘সকল প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে সবসময় সমর্থন করেছেন।
আমার বাবা-মা, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, বিশেষ করে আমার শ্বশুর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার ভাই এমদাদ উল্লাহকে অনেক ধন্যবাদ, যিনি ছোটবেলা থেকেই আমার কোচ এবং পরামর্শদাতা হিসেবে আমার পাশে থেকেছেন। এবং পরিশেষে আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের ধন্যবাদ, যারা কঠিন সময়ে আমার পাশে থেকেছেন। আমি জানি লাল-সবুজ জার্সিতে রাইদ আমাকে মিস করবে।
সবকিছু নিখুঁতভাবে শেষ হয় না, তবে তোমাকে মেনে নিতে হয় এবং সামনে এগিয়ে যেতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ। আমার দল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা।’
দেশের হয়ে তিন সংস্করণে দারুণ অবদান রাখার পর এবার বিদায় বললেন এই নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। তবে তার স্মরণীয় মুহূর্তগুলো চিরকাল বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে গেঁথে থাকবে।